ঢাকার মগবাজারে আবাসিক হোটেল থেকে সৌদিপ্রবাসী মনির হোসেন (৪৮), তাঁর স্ত্রী নাসরিন আকতার স্বপ্না (৩৮) ও ছেলে আরাফাতের (১৮) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রমনা থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। গতকাল মনিরের ভাই নুরুল আমিন মানিক মামলাটি করেন। মামলার পরই ওই প্রবাসীর কেয়ারটেকার রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। মনিরের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার দেহলা গ্রামে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল আজহায় দেশে আসেন মনির। প্রবাসে থাকা অবস্থায় তিনি তাঁর দূরসম্পর্কের চাচা রফিকুলের মাধ্যমে ঢাকাসহ গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় জমি ও বাড়ি কেনেন। রফিকুলই সেসব দেখভাল করতেন। মনির দেশে আসার পর জমিজমা ও টাকার হিসাব নিয়ে রফিকুলের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। এর মধ্যে গত ২৮ জুন মনির ছেলের চিকিৎসার জন্য স্ত্রীসহ ঢাকার এসপিআরসি হাসপাতালে আসেন। ওই দিন চিকিৎসকের সিরিয়াল না পেয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মগবাজারের সুইট স্লিপ হোটেলে ওঠেন।
সন্ধ্যায় হোটেলে তাঁদের খাবার দিয়ে রফিকুল তাঁর বাসায় চলে যান। মনির ও তাঁর পরিবার রফিকুলের আনা খাবার খেয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে তাঁরা অসুস্থ হয়ে গেলে আদ-দ্বীন হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক জানান, মামলার বাদী ইতালিতে থাকেন। ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে সোমবার দেশে ফেরেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে কেয়ারটেকার রফিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।