কারাবন্দি ১১ দিনের শিশুসহ সেই প্রসূতি শাহাজাদীর (৩৬) ঠাঁই মিলেছে খুলনা মেডিকেলের প্রিজন সেলে। কারাগারে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে গতকাল তাদের প্রিজন সেলে নেওয়া হয়। তবে শিশুটির নানি নার্গিস বেগম এখনো কারাগারে রয়েছেন। হাসপাতালে শিশু চুরির অভিযোগে মানব পাচার আইনের মামলায় প্রসূতি শাহাজাদী ও তার মা নার্গিস বেগমকে আসামি করা হয়। খুলনা জেল সুপার মো. নাসির উদ্দিন শিশুসহ শাহাজাদীকে প্রিজন সেলে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ১১ সেপ্টেম্বর খুলনা নগরীর রূপসার একটি ক্লিনিকে শাহাজাদীর পঞ্চমবারের মতো কন্যাসন্তান জন্ম হয়। তিনি বাগেরহাটে রামপালের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী। পরপর পাঁচবার কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন অসন্তুষ্ট ছিলেন। ছেলে না হওয়ায় স্ত্রীকে হাসপাতালে ফেলে চলে যান সিরাজুল। পরিবারের চাপ ও হতাশার মধ্যে ১৫ সেপ্টেম্বর একই ক্লিনিকে আরেক দম্পতির জন্ম নেওয়া চার দিনের ছেলে নবজাতককে চুরি করে বাড়িতে নিয়ে যান শাহাজাদী। শ্বশুরবাড়িতে তারা একটি ছেলে ও একটি মেয়ে হয়েছে বলতে এ ঘটনা ঘটান। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শাহাজাদীর মা নার্গিস বেগমের (৫৫) কাছ থেকে চুরি হওয়া নবজাতক উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শাহাজাদী ও তার মা নার্গিস বেগমকে আসামি করে মানব পাচার আইনে মামলা করা হয়। পরে আদালত ১৬ সেপ্টেম্বর নার্গিস বেগমকে কারাগারে পাঠান। গত রবিবার শাহাজাদীকে খুলনার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করা হলে তার পক্ষে আইনজীবী না থাকায় শুনানি হয়নি। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাইরে শিশুটি দেখাশোনার কেউ না থাকায় শাহাজাদীর সঙ্গে তাকেও খুলনা জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।