বর্তমানে অনেকেই শারীরিক চাহিদা কমে যাওয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন। বর্তমান কর্মব্যস্ততার যুগে বদলে যাওয়া খাদ্যাভাস, বিশ্রামের ঘাটতি, অতিরিক্ত ক্লান্তি, অবসাদের ফলে ধীরে ধীরে কমে আসে শারীরিক ক্ষমতাও।
তাই যে সব খাবার শারীরিক আকাঙ্ক্ষা এবং ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে, সেগুলি তালিকা থেকে ছেঁটে ফেলাই ভাল। আসুন জেনে নেওয়া যাক তেমন কয়েকটি খাবার সম্পর্কে, যেগুলি শারীরিক আকাঙ্ক্ষা বা শারীরিক ক্ষমতার উফর কুপ্রভাব ফেলতে পারে।
১। অতিরিক্ত চিজ খেলে শারীরিক অক্ষমতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। আসলে গরুর দুধে প্রচুর পরিমাণে সিন্থেটিক হরমোন রয়েছে যা প্রচুর পরিমাণে খাওয়ার ফলে শরীরে স্বাভাবিক হরমোনের উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটায়।
২। অতিরিক্ত মদ্যপান শারীরিক চাহিদার ক্ষেত্রে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। আর তাছাড়া অ্যালকোহল শরীরে একটা অবসন্ন ভাব এনে দেয়। ফলে ঘনিষ্ঠতার সময় উপযুক্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার ঘাটতি দেখা দেয়।
৩। মাইক্রোওয়েভে তৈরি করা পপকর্ন খেলেও কিন্তু শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সব পপকর্নে থাকে প্রিফ্লুওরুক্ট্যানোইক অ্যাসিডের মতো কেমিক্যাল যা ধীরে ধীরে আপনার শারীরিক চাহিদার ক্ষেত্রে নানা ভাবে বাধার সৃষ্টি করে।
৪। ইউরোপিয়ান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে দাবি করা হয়েছে, সয়া মিল্ক বা সয়া সস এগুলি ব্যাপকভাবে টেস্টোস্টেরোনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে শারীরিক আকাঙ্ক্ষা কমে যায়। গবেষকরা দেখেছেন যে, যারা দিনে ১২০ গ্রাম সয়া খান তাদের শরীরে টেস্টোস্টেরোন কমে যায়। গবেষকদের দাবি, সয়া কমিয়ে দেয় শুক্রাণুর পরিমাণও।
৫। যে কোনও ধরনের রিফাইন কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা শারীরিক সম্পর্কে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। রিফাইন কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা শরীরে এস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, কমিয়ে দেয় টেস্টোস্টেরোনের মাত্রা। ফলে শারীরিক চাহিদা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর