শিরোনাম
প্রকাশ: ১৫:২৩, রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন

গরমকালে বাড়ি ঠান্ডা রাখার চীনা প্রাচীন কৌশল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন
গরমকালে বাড়ি ঠান্ডা রাখার চীনা প্রাচীন কৌশল

রু লিং চীনের পুরানো বাড়িগুলোর ভেতরে থাকা ফাঁকা জায়গা বা উঠানে সময় কাটাতে পছন্দ করেন। তার জন্য, এই জায়গাগুলো গরম এবং আর্দ্র দিনের জন্য উপযুক্ত।

"এই স্থানগুলোয় প্রচুর বাতাস চলাচল করে, জায়গাটি শীতল এবং ছায়া দেয়," বলেছেন ৪০ বছর বয়সী রু।

চীনের পূর্বাঞ্চলে আনহুই প্রদেশের গুয়ানলু গ্রামে ২০১৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত টানা সাত বছর রু প্রায় শত বছরের পুরনো একটি প্রাচীন কাঠের বাড়িতে থাকতেন।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভবনে বহু বছর বসবাস ও কাজ করার পর তিনি তার জীবন পরিবর্তন করতে এই বাড়িতে চলে আসেন।

‌‘গ্রীষ্মে আমার এই বাড়িতে প্রাকৃতিকভাবে শীতলতার অনুভূতি পাওয়া যায়, যা খুব সতেজ করে দেয়। এই অনুভূতি আধুনিক বিশ্বে খুঁজে পাওয়া কঠিন,’ তিনি বলেন।

‘এই বাড়িটিতে ধ্যান করার মতো আরামদায়ক পরিবেশও আছে।’ রু বলেছেন, এই বাড়ির ভেতরে যে আঙিনা বা উঠোন রয়েছে সেটা এই শীতল প্রভাব তৈরি করতে সাহায্য করেছে।

গরম আবহাওয়ায় বাড়ির উঠোনের সুবিধাগুলো শুধু তিনিই উপভোগ করছেন না।

গবেষণায় দেখা গেছে যে দক্ষিণ চীনের কিছু বাড়ির উঠোনের ভেতরের তাপমাত্রা বাইরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম, চার দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম।

আজ, চীন দ্রুত নগরায়নের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এখন যেসব বাড়িগুলোয় ভেতরে এমন ফাঁকা জায়গা বা উঠোন রয়েছে সেখানে অনেক কম লোক বাস করে। এখন বহুতল ভবনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাপার্টমেন্ট এবং অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকগুলো আবাসনের প্রধান রূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

তবে ঐতিহ্যবাহী চীনা স্থাপত্যের প্রতি নতুন করে আগ্রহ জাগার ফলে কিছু ঐতিহাসিক ভবনের ভেতরের আঙিনা আধুনিক সময়ের জন্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

সরকার নির্মাণ খাতে কার্বন নিঃসরণ কমানোকে উৎসাহিত করায় এখনকার স্থপতিরা নতুন নির্মিত ভবনগুলো শীতল রাখতে এমন খোলা জায়গা রাখার পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী চীনা স্থাপত্যের অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের দিকে নজর দিতে শুরু করেছে।

তাপের জন্য ‘ফায়ারপ্লেস’

বাড়ির ভেতরের আঙিনা, যাকে ম্যান্ডারিন ভাষায় তিয়ান জং বলা হয়, এটি দক্ষিণ এবং পূর্ব চীনের ঐতিহ্যবাহী বাড়িগুলোর একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য।

তবে তিয়ান জং দেশটির উত্তরের বাড়িগুলোয় থাকা সাধারণ খোলা আঙিনা, বা ইউয়ান জি থেকে আলাদা। কারণ ইউয়ান জি বাড়ির বাইরে আলাদা খোলা পরিবেশে যা আরও বড় এবং আরও বেশি উন্মুক্ত হয়ে থাকে।

মিং (১৩৬৮-১৬৪৪) এবং কিং (১৬৪৪-১৯১১) রাজবংশের আমলে নির্মিত স্থাপনাগুলোয় বাড়ির ভেতরের আঙিনা রাখা একটা সাধারণ বিষয় ছিল।

মূলত পরিবারের কয়েক প্রজন্ম ধরে এই আঙিনা ডিজাইন করা হয়েছে। ২০১০ সালে চীনের নানচাং বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালে প্রকাশিত এক নথি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বাড়ির ভেতরের এসব উঠোনের আকার এবং নকশা একেক অঞ্চল ভেদে পরিবর্তিত হয়। তবে এই খালি জায়গাটি প্রায় সবসময় আয়তকার হয়ে থাকে এবং এর অবস্থান থাকে বাড়ির কেন্দ্রে। উঠোনের চারদিক বা তিনদিক কক্ষ ও প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত থাকে। কিছু বড় বড় বাড়িতে একাধিক উঠোন থাকে।

সিচুয়ান, জিয়াংসু, আনহুই এবং জিয়াংজি প্রদেশের মতো দক্ষিণ ও পূর্ব চীনের বেশিরভাগ অঞ্চলের ঐতিহাসিক বাড়িগুলোয় ভেতরে উঠোন থাকা তুলনামূলকভাবে সাধারণ বিষয়।

মধ্য-পূর্ব চীনে গুয়াংদং প্রদেশের ঐতিহাসিক শহর হুইঝোতে কিছু সেরা-সংরক্ষিত উঠোন পাওয়া গেছে, যা বর্তমান আনহুই এবং জিয়াংসি প্রদেশের মধ্যে বিস্তৃত হয়েছে।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র আবিষ্কারের অনেক আগে ভবনকে শীতল রাখতে জন্য অভ্যন্তরীণ আঙিনাগুলো ডিজাইন করা হতো। যখন একটি বাড়ির উঠোনের ওপর দিয়ে বাতাস প্রবাহিত হয়, তখন এই খালি জায়গার মাধ্যমে বাতাস সারা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে পারে।

যেহেতু বাইরের বাতাস সাধারণত ভেতরের বাতাসের চেয়ে ঠান্ডা থাকে, তাই বাইরের ঠান্ডা বাতাস দেয়ালের মধ্য দিয়ে প্রতিটি তলায় চলে যায়। যার ফলে ভেতরের উষ্ণ বাতাসকে সরিয়ে দিয়ে বাড়ির ভেতরে ঠান্ডা বাতাসের প্রবাহ তৈরি হয়। তখন ভেতরের গরম বাতাস ঘরের ওপরের দিকে উঠে ফাঁকা জায়গা দিয়ে বেরিয়ে যায়।

ইউ ইউহং এর বয়স ৫৫ বছর। ৩০ বছর ধরে, তিনি প্রাচীন হুইঝো অঞ্চলের একটি অংশ জিয়াংসি প্রদেশের উয়ুয়ান জেলায় থাকা প্রাচীন উঠোনওয়ালা বাড়িগুলি পুনরুদ্ধার করছেন। যে বাড়িগুলো চীনের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয় দ্বারা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী হিসাবে স্বীকৃত। তার চীনা বাড়ির ভেতরের এই খালি জায়গা সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান রয়েছে।

ইউ ব্যাখ্যা করেন যে ভেতরের আঙিনার প্রধান কাজগুলো হল ঘরের ভেতরে পর্যাপ্ত আলো প্রবেশ করতে দেওয়া, বায়ুচলাচল উন্নত করা এবং বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করা।

হুইঝোতে থাকা পুরনো বাড়িগুলোর ভিতরের উঠোন আকারে ছোট এবং উঁচু। আশেপাশের কক্ষগুলো গরমের দিনে সূর্যালোককে আটকাতে পারে, যার ফলে উঠোনের নীচের অংশটি ঠাণ্ডা থাকে।

ইতোমধ্যে, ঘরের ভেতর থেকে গরম বাতাস ওপর দিকে উঠে ফাঁকা জায়গা দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে যা অনেকটা "চিমনির মতো কাজ করে।"

ইউ এর মতে “হুইঝো শহরের পুরানো বাড়িগুলোর নিচতলায় সাধারণত উঁচু সিলিং থাকে এবং ছাদের অংশটুকু ফাঁকা থাকে। এই খোলা অংশটি সরাসরি ভিতরের উঠোনের বরাবর হয়, যা বায়ুচলাচলের জন্য উপযোগী,"।

তিনি বলেন, "কিছু ধনী পরিবারের দুটি এমনকি তিনটি উঠোন ছিল, যার কারণে সেখানকার ভাল বায়ুচলাচল আরও উন্নত ছিল।"

রেনেসাঁ

ভেতরের আঙিনাসহ ভবনগুলো চীনে কয়েকশ বছর ধরে টিকে রয়েছে। কিন্তু যারা আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পছন্দ করেন তাদের অনেকেই পুরনো বাড়ির সুবিধার কথা ভুলতে বসেছিল।

তবে গত দুই দশক ধরে, চীনের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে ধরে রাখার লক্ষ্যে প্রাচীন স্থাপত্যগুলো সংরক্ষণ শুরু হলে, বাড়ির আঙিনায় এই উঠোন রাখার গুরুত্ব আবার আলোচনায় ফিরে আসে।

ইউ যেখানে থাকেন সেটি পুনরুদ্ধার করা বাড়িগুলির মধ্যে একটি। যেটি উয়ুয়ান কাউন্টির ইয়ান গ্রামে অবস্থিত। বাড়িটি ৩০০ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল এবং ২০১৫ সাল পর্যন্ত পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।

পরে একজন প্রাক্তন মার্কেটিং ডিরেক্টর বা বিপণন পরিচালক ব্রিটিশ এডওয়ার্ড গাওন, এবং তার চীনা স্ত্রী লিয়াও মিনক্সিন বাড়িটি কিনে নেন। ইউ-এর সাহায্যে, এই দম্পতি তিনতলা বাড়িটিকে একটি ১৪টি কক্ষের বুটিক হোটেলে রূপান্তরিত করেন।

গাওন এবং লিয়াও সমস্ত অ্যাপার্টমেন্টে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বসান। তবে ভেতরের উঠোর চারপাশের কমন স্পেসটি তাদের আসল অবস্থায় রেখেছেন। সেখানে কোন বেষ্টনী দেননি এবং প্রাকৃতিক বায়ু প্রবাহ ঠিক রেখেন।

গাওন বলেছেন যে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই, ভেতরের এই উঠোন গ্রীষ্মে খুব আরামদায়ক থাকে। "প্রত্যেকে খেয়াল করেছে যে যখন তারা বাড়িতে প্রবেশ করে তখন তারা স্বাভাবিকভাবে বেশ সতেজ অনুভব করেন," তিনি বলেছেন।

ইউ আশা করেন স্থাপত্যের অংশ হিসেবে বাড়ির ভেতরে এমন উঠোন রাখা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে "ক্রমেই জনপ্রিয়" হয়ে উঠবে। বাড়িতে বায়ু চলাচল এবং পর্যাপ্ত আলো প্রবেশসহ নানা নানা কার্যকারিতার কারণেই এই স্থাপত্য কৌশল জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

সেইসাথে নতুন কিছু নির্মাণের ক্ষেত্রে আজকাল ‘টেকসই’ হওয়াটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে এই স্থাপত্য কৌশল বেশ কার্যকর। এমনকি প্রাকৃতিক বাতাস যদি তেমন নাও থাকে তখনও "চিমনি প্রভাব" এর কারণে বাড়ির ভিতরের আঙিনায় বায়ু সঞ্চালন ঘটে।

এই খালি জায়গার উপরের এবং নিচের তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে উঠোনের ভেতরের গরম বাতাস উপরে উঠে বেরিয়ে যায়, ঠান্ডা বাতাস নিচে নামিয়ে ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দেয়।

চীনের আরও দক্ষিণে অবস্থিত ঐতিহাসিক শহর লিংনান এর ঐতিহ্যবাহী বাড়িগুলোয় উঠোনগুলো ছোট এবং গভীর হয়ে থাকে। চীনের গুয়াংসি, ক্যান্টন এবং হাইনান প্রদেশের পাশাপাশি বর্তমানে উত্তর ও মধ্য ভিয়েতনামেও এমনটা দেখা যায়। এর কারণ ওইসব এলাকায় গ্রীষ্মকাল বেশ লম্বা সময় ধরে থাকে এবং বেশ গরম পড়ে।

পানির প্রভাব

বাড়ির ভেতরের আর বাইরের পরিবেশের মধ্যে বাতাস স্থানান্তর স্থান হিসেবে কাজ করে এই উঠোন। বাইরের গরম বাতাস থেকে বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্য এই উঠোন একটি দক্ষ থারমাল প্রটেক্টর বা তাপ রক্ষাকারী হিসেবে কাজ করে। কিন্তু এই উঠোনে শীতল প্রভাবের তখনই ঘটে যখন সেখানে কোনো জলাশয় থাকে।

পানি বাষ্পীভূত হওয়ার সাথে সাথে এটি গরম বাতাসকে শীতল করে। এটি বাষ্পীভূত শীতল প্রক্রিয়া হিসেবে পরিচিত এবং হুইঝো-এর অভ্যন্তরীণ আঙিনায় এই প্রক্রিয়া স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।

অতীতে, হুইঝো শহরে থাকা পরিবারগুলো তাদের উঠোনে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করত। কারণ, তারা বিশ্বাস করত যে এই পানি সংগ্রহের ফলে তাদের সম্পদ রক্ষা পাবে এবং সম্পদ বাড়বে। এই কারণে, ছাদ থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য ভেতরের উঠোনগুলোর চারপাশে চ্যানেল রাখা হতো।

ইউ ব্যাখ্যা করে যে, কিছু ধনী পরিবার তাদের আঙ্গিনার মাটি খনন করে এমন নিষ্কাশন ব্যবস্থা স্থাপন করেছিল যাতে বৃষ্টির পানি ভূগর্ভস্থ প্রবেশদ্বারকে ঘিরে ফেলার পরই বেরিয়ে যেতে পারে।

হুইঝো শহরের বাড়িগুলোয় ভেতরের উঠোনের মাঝখানে একটি বড় পাথরের বেসিন রয়েছে যা প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য পানি সঞ্চয় করে এবং আগুন ধরলে এই পানি দিয়ে যেন নেভানো যায়।

হুইঝু-এর দুটি ঐতিহ্যবাহী গ্রামে আঙিনা থাকা বাড়িগুলো নিয়ে ২০২১ সালে একটি সমীক্ষা হয়। সেখান থেকে জানা যায়, বাষ্পীভবন শীতল প্রক্রিয়ার ফলে ঘরের আঙ্গিনার গড় তাপমাত্রা বাইরের গড় তাপমাত্রার চাইতে দুই দশমিক ছয় ডিগ্রি থেকে চার দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যায়।

সবুজ প্রযুক্তি

বর্তমানে, আধুনিক ভবনগুলোয় খালি জায়গা ফিরে আসার ক্ষেত্রে সরকারী বিধি-বিধানগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ২০১৩ সাল থেকে, চীনের কেন্দ্রীয় সরকার সবুজ ভবন নির্মাণে উৎসাহ দিয়ে আসছে, যা সম্পদ সংরক্ষণ করছে এবং মানুষের নিয়মিত জীবনে দূষণের মাত্রা কমে আসছে।

২০১৯ সালের একটি সরকারি নির্দেশনায় ২০২২ সালের মধ্যে ৭০ শতাংশ ভবনে খোলা জায়গা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন তারা "সবুজ" মান অর্জন করতে পারে। এই সবুজ মান অর্জনের ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট মানদণ্ড রয়েছে যেমন তাপ নিয়ন্ত্রণের গুণমান এবং নির্মাণ সামগ্রীর পরিবেশগত মান রক্ষা করা।

স্থপতিরা এখন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের কথা মাথায় রেখে নতুন ভবন ডিজাইন করছে এবং সেখানে খালি জায়গা রাখার সুবিধাগুলো পরীক্ষা করছেন। পূর্ব চীনের জিনান শহরের ন্যাশনাল হেভি ভেহিকল ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি রিসার্চ সেন্টার এর একটি উদাহরণ।

১৮-তলাসম্পন্ন, কাঁচের দেওয়ালে তৈরি এই টাওয়ারটির কাজ ২০২২ সালে শেষ হয়েছিল। এই ভবনের মাঝখানে একটি বিশাল খালি জায়গা রয়েছে যা পঞ্চম তলা থেকে একদম মাথা পর্যন্ত বিস্তৃত।

সাংহাই-ভিত্তিক সিসিডিআই গ্রুপের স্থপতিদের মতে, সমস্ত লিফট, টয়লেট এবং মিটিং রুম এই ফাকা জায়গার চারপাশে অবস্থিত, যা ভবনের ভেতরে প্রাকৃতিক আলো এবং বায়ুচলাচল বাড়াতে সাহায্য করেছে। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে।

হুইঝো অঞ্চলের জুয়ানচেং এর জিক্সি জেলার পুরানো টাউন হল ভবনটি ২০১৩ সালে সংস্কার করা হয়েছিল এবং ভবনটিকে একটি জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়।

হুইঝো স্থাপত্য শৈলীর আদলে এই কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করা হয়েছে। এর ভেতরে বেশ কয়েকটি খালি জায়গা রাখা হয়েছে। এর পেছনে যারা কাজ করেছেন তাদের মতে এই ফাঁকা জায়গা রাখার ফলে কমপ্লেক্সের ভিতরে বায়ু সরবরাহ করতে পারছে।

এবং এর ফলে সেখানকার বেশ কয়েকটি প্রাচীন গাছ সংরক্ষণ করাও সহজ হচ্ছে। একই সময়ে, সিচুয়ান প্রদেশের একটি জনপ্রিয় পর্যটন শহর - যে প্রদেশটি গরম, আর্দ্র গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আবহাওয়ার জন্য পরিচিত – সেখানে বেশ কয়েকটি বৃত্তাকার ঘর নির্মাণ করা হয়েছে যার প্রত্যেকটির মাঝখানে ফাঁকা জায়গা রাখা হয়েছে।

কিছু আকাশচুম্বী অট্টালিকা তাদের ভবনে বায়ুপ্রবাহ বাড়াতে ভবনের ভেতরে ফাঁকা জায়গা রাখার মাধ্যমে বাতাস চলাচলের নীতি গ্রহণের চেষ্টা করছে।

বাস্তবিক কারণে তারা বাহ্যিক আঙিনা নির্মাণ না করেই ভেতরে এই ফাঁকা জায়গার ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। চীনের গুয়াংদং প্রদেশের ডংগুয়ান শহরের টিবিএ টাওয়ার এর একটি উদাহরণ হতে পারে।

ভবনটি বায়ুচলাচল টিউবের মাধ্যমে ৬৮ তলা পর্যন্ত প্রাকৃতিক বায়ু প্রবাহ সরবরাহ করেও যা অনেকটা অভ্যন্তরীণ ফাঁকা জায়গার মতোই কাজ করে। এর উদ্দেশ্য হল বসন্ত এবং শরৎকালে ভবনের তাপমাত্রা আরামদায়ক মাত্রায় বজায় রাখা এবং সেটা শুধু প্রাকৃতিক বায়ুচলাচল ব্যবহার করে।

টাওয়ারের সাধারণ পরিচালক এক স্থানীয় সংবাদপত্রে ব্যাখ্যা করেছেন।

ইন্সটিটিউট অব এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজের এনভায়রনমেন্টাল হিউম্যানিটিজের পোস্ট ডক্টরাল গবেষক ওয়াং জেংফেং-এর মতে, প্রাচীনকালের মানুষদের মধ্যে যে "সবুজকে রক্ষা করার জ্ঞান" ছিল তার প্রমাণ ভবনের ভেতরে এমন উঠোন বা ফাকা জায়গা রাখা।

বর্তমান জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে প্রাচীন এই কৌশলগুলো আধুনিক স্থাপত্য নকশাকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে। যেখানে পরোক্ষভাবে ভবনকে শীতল রাখার কৌশল রয়েছে। নেদারল্যান্ডসের লেইডেন ইউনিভার্সিটি এলাকায় ওয়াং এর আগে একজন স্থপতি হিসেবে কাজ করতেন।

প্যাসিভ কুলিং বা পরোক্ষ শীতলীকরণ এমন এক পদ্ধতি যা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহার না করেই একটি ভবনকে ঠান্ডা রাখতে পারে। সেই অনুযায়ী ভবনটি ডিজাইন করা হয়েছে এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

কিন্তু ওয়াং উল্লেখ করেছেন যে বর্তমান নকশায় ভেতরে খালি জায়গা অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে কিছু অসুবিধা রয়েছে। এই খালি জায়গা মূলত ভবনে প্রাকৃতিক আলো-বাতাস চলাচলের পাশাপাশি বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করার জন্য সুপরিচিত।

তবে তাদের নীতিগুলি অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় প্রয়োগ করতে হবে। ঐতিহ্যবাহী উঠোনগুলো বিভিন্ন আকার, আকৃতি এবং বৈশিষ্ট্যের হয়ে থাকে। মূলত প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর নির্ভর করে ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের উঠোন তৈরি করা হতো।

উদাহরণস্বরূপ, একেক অঞ্চলে সূর্যালোক বা বৃষ্টিপাতের মাত্রা একেক রকম – সেই দিকগুলো বিবেচনা করে আধুনিক ভবনগুলোয় এমন উঠোন বা ফাঁকা জায়গা যুক্ত করার জন্য ডিজাইনারদের সংবেদনশীল হতে হবে।

তাদের প্রকল্পের পরিস্থিতি এবং প্রেক্ষাপট বিবেচনা করতে হবে। কেননা এই প্রাচীন পদ্ধতি কোন সার্বজনীন সমাধান নয়।

এই পদ্ধতি সব জায়গায় ঢালাওভাবে প্রয়োগ করা যাবে না বলে ওয়াং জানান। "এখন কৃত্রিম উপায়ে একই সময়ে আলো, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ এবং পানি সরবরাহের মতো সেবা ব্যাপকভাবে পাওয়া যাচ্ছে এবং মানুষ এর পরিবেশগত ক্ষতি বিবেচনা না করেই সেগুলো ব্যবহার করছে,” তিনি বলেন।

"আমরা যদি আমাদের বর্তমান আচরণ পরিবর্তন না করি তবে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে টেকসই হওয়া সহজ হবে না।"

আধুনিক চীনে বাড়ির ভেতরে উঠোন বা ফাঁকা জায়গা কেন আরও মনোযোগ আকর্ষণ করেছে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, ওয়াং বলেন যে, উঠোনগুলো পরিবার বা সম্প্রদায়ের জমায়েতের স্থান হিসাবে ব্যবহারের জন্যও ডিজাইন করা হতো। তাদের একটি আনুষ্ঠানিক অর্থ আছে। তার মতে, " কংক্রিট এবং কাঁচের জঙ্গলে বসবাসকারী মানুষদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তনগুলো সম্ভবত পুরনো স্মৃতিকে জাগিয়ে তুলেছে।"

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কমে যাচ্ছে মা-সন্তানের যোগাযোগ: গবেষণা
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কমে যাচ্ছে মা-সন্তানের যোগাযোগ: গবেষণা
জিরা খেলে কি সত্যিই দ্রুত ওজন কমে?
জিরা খেলে কি সত্যিই দ্রুত ওজন কমে?
যেভাবে গোলমরিচ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে
যেভাবে গোলমরিচ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে
যে অভ্যাস হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
যে অভ্যাস হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
ত্বকের ক্ষতি করতে পারে যেসব খাবার
ত্বকের ক্ষতি করতে পারে যেসব খাবার
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা খাবেন
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা খাবেন
সারা বছর সুস্থ থাকতে নিয়মিত খান এই ৭টি খাবার
সারা বছর সুস্থ থাকতে নিয়মিত খান এই ৭টি খাবার
শেরাটনে কোস্টাল কার্নিভাল
শেরাটনে কোস্টাল কার্নিভাল
ক্যাপসিকাম খাওয়ার ৮ উপকারিতা
ক্যাপসিকাম খাওয়ার ৮ উপকারিতা
দুই সপ্তাহ তেল ছাড়া খাবার খেলেই শরীরে দেখা দেবে যেসব পরিবর্তন
দুই সপ্তাহ তেল ছাড়া খাবার খেলেই শরীরে দেখা দেবে যেসব পরিবর্তন
সেলেব্রিটিদের মতো প্রাণবন্ত উজ্জ্বল চেহারার জন্য স্ট্রোব ক্রিম
সেলেব্রিটিদের মতো প্রাণবন্ত উজ্জ্বল চেহারার জন্য স্ট্রোব ক্রিম
ছেলেদের লম্বা চুলের ফ্যাশন
ছেলেদের লম্বা চুলের ফ্যাশন
সর্বশেষ খবর
ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত
ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত

৪১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রামে কৈশোর তারুণ্যের বইমেলা
চট্টগ্রামে কৈশোর তারুণ্যের বইমেলা

১১ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

খুলনায় ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত, ১ রেল যোগাযোগ বন্ধ
খুলনায় ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত, ১ রেল যোগাযোগ বন্ধ

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান
পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে কনসার্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে কনসার্ট

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কাপড়ের ব্যাগে লুকিয়ে কারাগার থেকে পালালেন বন্দী
কাপড়ের ব্যাগে লুকিয়ে কারাগার থেকে পালালেন বন্দী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি ও তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন স্লোগান, রাবি জাতীয়তাবাদী ফোরামের প্রতিবাদ
বিএনপি ও তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন স্লোগান, রাবি জাতীয়তাবাদী ফোরামের প্রতিবাদ

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাবির ফোকলোর বিভাগের নাম সংস্কার
রাবির ফোকলোর বিভাগের নাম সংস্কার

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি
ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পোল্যান্ডে আবিষ্কৃত হলো ৫৫০০ বছর আগের দুটি প্রাচীন পিরামিড
পোল্যান্ডে আবিষ্কৃত হলো ৫৫০০ বছর আগের দুটি প্রাচীন পিরামিড

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আড়াই লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ হুমকিতে
আড়াই লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ হুমকিতে

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে দুই ভাই নিহত
বগুড়ায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে দুই ভাই নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই উইমেন্স ডে’ উদযাপন
চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই উইমেন্স ডে’ উদযাপন

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাবিতে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন হবে কোডিং পদ্ধতিতে, থাকবে না রোল
রাবিতে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন হবে কোডিং পদ্ধতিতে, থাকবে না রোল

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কমে যাচ্ছে মা-সন্তানের যোগাযোগ: গবেষণা
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কমে যাচ্ছে মা-সন্তানের যোগাযোগ: গবেষণা

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

গাজায় নেতানিয়াহুর মানবিক শহর, নিন্দায় দুই সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
গাজায় নেতানিয়াহুর মানবিক শহর, নিন্দায় দুই সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি কঠোর করে ইরানের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস
গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি কঠোর করে ইরানের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে মোটরসাইকেল চোর চক্রের ছয় সদস্য আটক
যশোরে মোটরসাইকেল চোর চক্রের ছয় সদস্য আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপির বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার হাওয়ায় মিলে গেছে : রিজভী
বিএনপির বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার হাওয়ায় মিলে গেছে : রিজভী

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেন যুুদ্ধ থামাতে পুতিনকে ৫০ দিন দিলেন ট্রাম্প
ইউক্রেন যুুদ্ধ থামাতে পুতিনকে ৫০ দিন দিলেন ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাকৃবিতে গমের ব্লাস্ট রোগ দমনে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ
গাকৃবিতে গমের ব্লাস্ট রোগ দমনে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নোয়াখালীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ
নোয়াখালীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে দেশের প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন
নারায়ণগঞ্জে দেশের প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই অভ্যুত্থানের সাহসী নারীদের হারিয়ে যেতে দেবো না: শারমীন মুরশিদ
জুলাই অভ্যুত্থানের সাহসী নারীদের হারিয়ে যেতে দেবো না: শারমীন মুরশিদ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গাজায় আরও তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় আরও তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসীর স্বর্ণালংকার লুট, আটক ৫
প্রবাসীর স্বর্ণালংকার লুট, আটক ৫

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শহীদ আবু সাঈদকে স্মরণে প্রস্তুত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
শহীদ আবু সাঈদকে স্মরণে প্রস্তুত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'হারার পর আমি ফোন খুলতেই ভয় পাচ্ছিলাম'
'হারার পর আমি ফোন খুলতেই ভয় পাচ্ছিলাম'

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
আয়কর রিটার্ন ছাড়া মিলবে না ৩৯ ধরনের সেবা
আয়কর রিটার্ন ছাড়া মিলবে না ৩৯ ধরনের সেবা

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

থাকেন ভারতে, বেতন তোলেন বাংলাদেশে
থাকেন ভারতে, বেতন তোলেন বাংলাদেশে

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

'টিআইএন থাকা সত্ত্বেও যারা রিটার্ন দাখিল করেন না তাদের নিয়ে কাজ করতে হবে'
'টিআইএন থাকা সত্ত্বেও যারা রিটার্ন দাখিল করেন না তাদের নিয়ে কাজ করতে হবে'

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন নির্দেশনা দিয়ে মাউশির চিঠি
সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন নির্দেশনা দিয়ে মাউশির চিঠি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রিটার্নিং-প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগে পরিবর্তন আসছে : সিইসি
রিটার্নিং-প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগে পরিবর্তন আসছে : সিইসি

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে হলের ছাদ থেকে লাফ: ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে হলের ছাদ থেকে লাফ: ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রথমবারের মতো নিলামে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক
প্রথমবারের মতো নিলামে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি নাসির-তামিমার, সাফাই সাক্ষ্য ১১ আগস্ট
আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি নাসির-তামিমার, সাফাই সাক্ষ্য ১১ আগস্ট

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লঙ্কানদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে যা বললেন লিটন
লঙ্কানদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে যা বললেন লিটন

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরির নির্দেশ
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরির নির্দেশ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেট্রোরেল চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা
মেট্রোরেল চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা ট্রাম্পের
ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা ট্রাম্পের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচারিক আদালতে তারেক-জুবাইদার বিচার নিরপেক্ষ হয়নি: হাইকোর্ট
বিচারিক আদালতে তারেক-জুবাইদার বিচার নিরপেক্ষ হয়নি: হাইকোর্ট

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে : ম্যাক্রোঁ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে : ম্যাক্রোঁ

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি ও তারেক রহমানের চরিত্র হননের ঘৃণ্য অপচেষ্টার প্রতিবাদ বিএনপির
বিএনপি ও তারেক রহমানের চরিত্র হননের ঘৃণ্য অপচেষ্টার প্রতিবাদ বিএনপির

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পিএসজিকে গুঁড়িয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে চেলসি রূপকথা
পিএসজিকে গুঁড়িয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে চেলসি রূপকথা

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেয়ের জন্মের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে দীপিকা, নিন্দুকদের 'বিষাক্ত' মন্তব্য
মেয়ের জন্মের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে দীপিকা, নিন্দুকদের 'বিষাক্ত' মন্তব্য

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি বরদাস্ত করা হবে না : জয়নুল আবদিন
তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি বরদাস্ত করা হবে না : জয়নুল আবদিন

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অনেকেই চেষ্টা করছে দেশে যেন নির্বাচন না হয়: মির্জা ফখরুল
অনেকেই চেষ্টা করছে দেশে যেন নির্বাচন না হয়: মির্জা ফখরুল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১২ ইংলিশ ব্যাটারকে বোল্ড করে ইতিহাসে ভারত
১২ ইংলিশ ব্যাটারকে বোল্ড করে ইতিহাসে ভারত

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নাটোরে ছড়িয়ে পড়ছে নীরব ঘাতক ‘পার্থেনিয়াম’
নাটোরে ছড়িয়ে পড়ছে নীরব ঘাতক ‘পার্থেনিয়াম’

৬ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ক্লাব বিশ্বকাপে কে কত প্রাইজমানি পেল?
ক্লাব বিশ্বকাপে কে কত প্রাইজমানি পেল?

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিটকয়েনের দাম ইতিহাসে প্রথমবার ১ লাখ ২০ হাজার ডলার ছাড়ালো
বিটকয়েনের দাম ইতিহাসে প্রথমবার ১ লাখ ২০ হাজার ডলার ছাড়ালো

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুমকি সুইস বিনিয়োগকারীর
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুমকি সুইস বিনিয়োগকারীর

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ জুলাই)

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফিরে এলো হাজারো বছর আগে হারিয়ে যাওয়া রোমান শহর
ফিরে এলো হাজারো বছর আগে হারিয়ে যাওয়া রোমান শহর

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা : দুই ভাই রিমান্ডে
মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা : দুই ভাই রিমান্ডে

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টেস্টের শতবর্ষের ইতিহাসে সেরা বোলিং গড় এখন বোল্যান্ডের
টেস্টের শতবর্ষের ইতিহাসে সেরা বোলিং গড় এখন বোল্যান্ডের

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিক্ষোভে উত্তাল নয়াপল্টন
বিক্ষোভে উত্তাল নয়াপল্টন

প্রথম পৃষ্ঠা

উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা
উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা

পেছনের পৃষ্ঠা

১৪ হাজার কোটি টাকার পায়রা বন্দর চ্যালেঞ্জে
১৪ হাজার কোটি টাকার পায়রা বন্দর চ্যালেঞ্জে

নগর জীবন

আরও পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা চায় যুক্তরাষ্ট্র
আরও পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা চায় যুক্তরাষ্ট্র

শিল্প বাণিজ্য

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষা বাড়ছেই কয়েক দফা পিছিয়েছে কাজ
বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষা বাড়ছেই কয়েক দফা পিছিয়েছে কাজ

পেছনের পৃষ্ঠা

টার্গেট তারেক রহমান
টার্গেট তারেক রহমান

প্রথম পৃষ্ঠা

১০ মাসে ৩৫৫৪ খুন, ৪১০৫ ধর্ষণ, ৮১৯ অপহরণ
১০ মাসে ৩৫৫৪ খুন, ৪১০৫ ধর্ষণ, ৮১৯ অপহরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ভোগান্তির এক মহাসড়ক
ভয়ংকর ভোগান্তির এক মহাসড়ক

পেছনের পৃষ্ঠা

জেলায় জেলায় গডফাদার কামাল যাদের ‘সর্দার’
জেলায় জেলায় গডফাদার কামাল যাদের ‘সর্দার’

প্রথম পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্রের সুদ আসলে কতটা কমল
সঞ্চয়পত্রের সুদ আসলে কতটা কমল

শিল্প বাণিজ্য

টিকা কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা
টিকা কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা

পেছনের পৃষ্ঠা

আমলাতন্ত্রের সিস্টেম আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত
আমলাতন্ত্রের সিস্টেম আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত

নগর জীবন

ঢাকার রাস্তায় গ্রাফিতি হয়ে উঠছে প্রতিবাদের ভাষা
ঢাকার রাস্তায় গ্রাফিতি হয়ে উঠছে প্রতিবাদের ভাষা

পেছনের পৃষ্ঠা

তিন দিনেও কিলিং মিশনের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি
তিন দিনেও কিলিং মিশনের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি

পেছনের পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ এক নম্বর স্বৈরাচারী দল
আওয়ামী লীগ এক নম্বর স্বৈরাচারী দল

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য
স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য

সম্পাদকীয়

ন্যায়বিচার পাওয়া সহজ করাই সংস্কারের লক্ষ্য
ন্যায়বিচার পাওয়া সহজ করাই সংস্কারের লক্ষ্য

প্রথম পৃষ্ঠা

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন

প্রথম পৃষ্ঠা

চোখের সামনে ভেসে গেল সহায়সম্বল
চোখের সামনে ভেসে গেল সহায়সম্বল

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি
ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি

পেছনের পৃষ্ঠা

শনাক্ত হয়নি কিলিং মিশনের তিনজন
শনাক্ত হয়নি কিলিং মিশনের তিনজন

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্ষমা চাচ্ছি লিখে ছাদ থেকে লাফ ঢাবি ছাত্রের
ক্ষমা চাচ্ছি লিখে ছাদ থেকে লাফ ঢাবি ছাত্রের

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়িকা মৌসুমী ভেবে ফোন
নায়িকা মৌসুমী ভেবে ফোন

শোবিজ

মার্কিন শুল্ক নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি
মার্কিন শুল্ক নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইরান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৩০ বাংলাদেশি
ইরান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৩০ বাংলাদেশি

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়িকা হতে এসে খলনায়িকা
নায়িকা হতে এসে খলনায়িকা

শোবিজ

সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ বিচার শুরু আটজনের
সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ বিচার শুরু আটজনের

পেছনের পৃষ্ঠা

শাকিবের নতুন রোমাঞ্চ
শাকিবের নতুন রোমাঞ্চ

শোবিজ

স্বামীভক্ত মেহজাবীন
স্বামীভক্ত মেহজাবীন

শোবিজ