শিরোনাম
প্রকাশ: ১৫:২৩, রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন

গরমকালে বাড়ি ঠান্ডা রাখার চীনা প্রাচীন কৌশল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন
গরমকালে বাড়ি ঠান্ডা রাখার চীনা প্রাচীন কৌশল

রু লিং চীনের পুরানো বাড়িগুলোর ভেতরে থাকা ফাঁকা জায়গা বা উঠানে সময় কাটাতে পছন্দ করেন। তার জন্য, এই জায়গাগুলো গরম এবং আর্দ্র দিনের জন্য উপযুক্ত।

"এই স্থানগুলোয় প্রচুর বাতাস চলাচল করে, জায়গাটি শীতল এবং ছায়া দেয়," বলেছেন ৪০ বছর বয়সী রু।

চীনের পূর্বাঞ্চলে আনহুই প্রদেশের গুয়ানলু গ্রামে ২০১৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত টানা সাত বছর রু প্রায় শত বছরের পুরনো একটি প্রাচীন কাঠের বাড়িতে থাকতেন।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভবনে বহু বছর বসবাস ও কাজ করার পর তিনি তার জীবন পরিবর্তন করতে এই বাড়িতে চলে আসেন।

‌‘গ্রীষ্মে আমার এই বাড়িতে প্রাকৃতিকভাবে শীতলতার অনুভূতি পাওয়া যায়, যা খুব সতেজ করে দেয়। এই অনুভূতি আধুনিক বিশ্বে খুঁজে পাওয়া কঠিন,’ তিনি বলেন।

‘এই বাড়িটিতে ধ্যান করার মতো আরামদায়ক পরিবেশও আছে।’ রু বলেছেন, এই বাড়ির ভেতরে যে আঙিনা বা উঠোন রয়েছে সেটা এই শীতল প্রভাব তৈরি করতে সাহায্য করেছে।

গরম আবহাওয়ায় বাড়ির উঠোনের সুবিধাগুলো শুধু তিনিই উপভোগ করছেন না।

গবেষণায় দেখা গেছে যে দক্ষিণ চীনের কিছু বাড়ির উঠোনের ভেতরের তাপমাত্রা বাইরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম, চার দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম।

আজ, চীন দ্রুত নগরায়নের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এখন যেসব বাড়িগুলোয় ভেতরে এমন ফাঁকা জায়গা বা উঠোন রয়েছে সেখানে অনেক কম লোক বাস করে। এখন বহুতল ভবনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাপার্টমেন্ট এবং অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকগুলো আবাসনের প্রধান রূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

তবে ঐতিহ্যবাহী চীনা স্থাপত্যের প্রতি নতুন করে আগ্রহ জাগার ফলে কিছু ঐতিহাসিক ভবনের ভেতরের আঙিনা আধুনিক সময়ের জন্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

সরকার নির্মাণ খাতে কার্বন নিঃসরণ কমানোকে উৎসাহিত করায় এখনকার স্থপতিরা নতুন নির্মিত ভবনগুলো শীতল রাখতে এমন খোলা জায়গা রাখার পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী চীনা স্থাপত্যের অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের দিকে নজর দিতে শুরু করেছে।

তাপের জন্য ‘ফায়ারপ্লেস’

বাড়ির ভেতরের আঙিনা, যাকে ম্যান্ডারিন ভাষায় তিয়ান জং বলা হয়, এটি দক্ষিণ এবং পূর্ব চীনের ঐতিহ্যবাহী বাড়িগুলোর একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য।

তবে তিয়ান জং দেশটির উত্তরের বাড়িগুলোয় থাকা সাধারণ খোলা আঙিনা, বা ইউয়ান জি থেকে আলাদা। কারণ ইউয়ান জি বাড়ির বাইরে আলাদা খোলা পরিবেশে যা আরও বড় এবং আরও বেশি উন্মুক্ত হয়ে থাকে।

মিং (১৩৬৮-১৬৪৪) এবং কিং (১৬৪৪-১৯১১) রাজবংশের আমলে নির্মিত স্থাপনাগুলোয় বাড়ির ভেতরের আঙিনা রাখা একটা সাধারণ বিষয় ছিল।

মূলত পরিবারের কয়েক প্রজন্ম ধরে এই আঙিনা ডিজাইন করা হয়েছে। ২০১০ সালে চীনের নানচাং বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালে প্রকাশিত এক নথি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বাড়ির ভেতরের এসব উঠোনের আকার এবং নকশা একেক অঞ্চল ভেদে পরিবর্তিত হয়। তবে এই খালি জায়গাটি প্রায় সবসময় আয়তকার হয়ে থাকে এবং এর অবস্থান থাকে বাড়ির কেন্দ্রে। উঠোনের চারদিক বা তিনদিক কক্ষ ও প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত থাকে। কিছু বড় বড় বাড়িতে একাধিক উঠোন থাকে।

সিচুয়ান, জিয়াংসু, আনহুই এবং জিয়াংজি প্রদেশের মতো দক্ষিণ ও পূর্ব চীনের বেশিরভাগ অঞ্চলের ঐতিহাসিক বাড়িগুলোয় ভেতরে উঠোন থাকা তুলনামূলকভাবে সাধারণ বিষয়।

মধ্য-পূর্ব চীনে গুয়াংদং প্রদেশের ঐতিহাসিক শহর হুইঝোতে কিছু সেরা-সংরক্ষিত উঠোন পাওয়া গেছে, যা বর্তমান আনহুই এবং জিয়াংসি প্রদেশের মধ্যে বিস্তৃত হয়েছে।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র আবিষ্কারের অনেক আগে ভবনকে শীতল রাখতে জন্য অভ্যন্তরীণ আঙিনাগুলো ডিজাইন করা হতো। যখন একটি বাড়ির উঠোনের ওপর দিয়ে বাতাস প্রবাহিত হয়, তখন এই খালি জায়গার মাধ্যমে বাতাস সারা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে পারে।

যেহেতু বাইরের বাতাস সাধারণত ভেতরের বাতাসের চেয়ে ঠান্ডা থাকে, তাই বাইরের ঠান্ডা বাতাস দেয়ালের মধ্য দিয়ে প্রতিটি তলায় চলে যায়। যার ফলে ভেতরের উষ্ণ বাতাসকে সরিয়ে দিয়ে বাড়ির ভেতরে ঠান্ডা বাতাসের প্রবাহ তৈরি হয়। তখন ভেতরের গরম বাতাস ঘরের ওপরের দিকে উঠে ফাঁকা জায়গা দিয়ে বেরিয়ে যায়।

ইউ ইউহং এর বয়স ৫৫ বছর। ৩০ বছর ধরে, তিনি প্রাচীন হুইঝো অঞ্চলের একটি অংশ জিয়াংসি প্রদেশের উয়ুয়ান জেলায় থাকা প্রাচীন উঠোনওয়ালা বাড়িগুলি পুনরুদ্ধার করছেন। যে বাড়িগুলো চীনের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয় দ্বারা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী হিসাবে স্বীকৃত। তার চীনা বাড়ির ভেতরের এই খালি জায়গা সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান রয়েছে।

ইউ ব্যাখ্যা করেন যে ভেতরের আঙিনার প্রধান কাজগুলো হল ঘরের ভেতরে পর্যাপ্ত আলো প্রবেশ করতে দেওয়া, বায়ুচলাচল উন্নত করা এবং বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করা।

হুইঝোতে থাকা পুরনো বাড়িগুলোর ভিতরের উঠোন আকারে ছোট এবং উঁচু। আশেপাশের কক্ষগুলো গরমের দিনে সূর্যালোককে আটকাতে পারে, যার ফলে উঠোনের নীচের অংশটি ঠাণ্ডা থাকে।

ইতোমধ্যে, ঘরের ভেতর থেকে গরম বাতাস ওপর দিকে উঠে ফাঁকা জায়গা দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে যা অনেকটা "চিমনির মতো কাজ করে।"

ইউ এর মতে “হুইঝো শহরের পুরানো বাড়িগুলোর নিচতলায় সাধারণত উঁচু সিলিং থাকে এবং ছাদের অংশটুকু ফাঁকা থাকে। এই খোলা অংশটি সরাসরি ভিতরের উঠোনের বরাবর হয়, যা বায়ুচলাচলের জন্য উপযোগী,"।

তিনি বলেন, "কিছু ধনী পরিবারের দুটি এমনকি তিনটি উঠোন ছিল, যার কারণে সেখানকার ভাল বায়ুচলাচল আরও উন্নত ছিল।"

রেনেসাঁ

ভেতরের আঙিনাসহ ভবনগুলো চীনে কয়েকশ বছর ধরে টিকে রয়েছে। কিন্তু যারা আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পছন্দ করেন তাদের অনেকেই পুরনো বাড়ির সুবিধার কথা ভুলতে বসেছিল।

তবে গত দুই দশক ধরে, চীনের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে ধরে রাখার লক্ষ্যে প্রাচীন স্থাপত্যগুলো সংরক্ষণ শুরু হলে, বাড়ির আঙিনায় এই উঠোন রাখার গুরুত্ব আবার আলোচনায় ফিরে আসে।

ইউ যেখানে থাকেন সেটি পুনরুদ্ধার করা বাড়িগুলির মধ্যে একটি। যেটি উয়ুয়ান কাউন্টির ইয়ান গ্রামে অবস্থিত। বাড়িটি ৩০০ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল এবং ২০১৫ সাল পর্যন্ত পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।

পরে একজন প্রাক্তন মার্কেটিং ডিরেক্টর বা বিপণন পরিচালক ব্রিটিশ এডওয়ার্ড গাওন, এবং তার চীনা স্ত্রী লিয়াও মিনক্সিন বাড়িটি কিনে নেন। ইউ-এর সাহায্যে, এই দম্পতি তিনতলা বাড়িটিকে একটি ১৪টি কক্ষের বুটিক হোটেলে রূপান্তরিত করেন।

গাওন এবং লিয়াও সমস্ত অ্যাপার্টমেন্টে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বসান। তবে ভেতরের উঠোর চারপাশের কমন স্পেসটি তাদের আসল অবস্থায় রেখেছেন। সেখানে কোন বেষ্টনী দেননি এবং প্রাকৃতিক বায়ু প্রবাহ ঠিক রেখেন।

গাওন বলেছেন যে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই, ভেতরের এই উঠোন গ্রীষ্মে খুব আরামদায়ক থাকে। "প্রত্যেকে খেয়াল করেছে যে যখন তারা বাড়িতে প্রবেশ করে তখন তারা স্বাভাবিকভাবে বেশ সতেজ অনুভব করেন," তিনি বলেছেন।

ইউ আশা করেন স্থাপত্যের অংশ হিসেবে বাড়ির ভেতরে এমন উঠোন রাখা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে "ক্রমেই জনপ্রিয়" হয়ে উঠবে। বাড়িতে বায়ু চলাচল এবং পর্যাপ্ত আলো প্রবেশসহ নানা নানা কার্যকারিতার কারণেই এই স্থাপত্য কৌশল জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

সেইসাথে নতুন কিছু নির্মাণের ক্ষেত্রে আজকাল ‘টেকসই’ হওয়াটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে এই স্থাপত্য কৌশল বেশ কার্যকর। এমনকি প্রাকৃতিক বাতাস যদি তেমন নাও থাকে তখনও "চিমনি প্রভাব" এর কারণে বাড়ির ভিতরের আঙিনায় বায়ু সঞ্চালন ঘটে।

এই খালি জায়গার উপরের এবং নিচের তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে উঠোনের ভেতরের গরম বাতাস উপরে উঠে বেরিয়ে যায়, ঠান্ডা বাতাস নিচে নামিয়ে ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দেয়।

চীনের আরও দক্ষিণে অবস্থিত ঐতিহাসিক শহর লিংনান এর ঐতিহ্যবাহী বাড়িগুলোয় উঠোনগুলো ছোট এবং গভীর হয়ে থাকে। চীনের গুয়াংসি, ক্যান্টন এবং হাইনান প্রদেশের পাশাপাশি বর্তমানে উত্তর ও মধ্য ভিয়েতনামেও এমনটা দেখা যায়। এর কারণ ওইসব এলাকায় গ্রীষ্মকাল বেশ লম্বা সময় ধরে থাকে এবং বেশ গরম পড়ে।

পানির প্রভাব

বাড়ির ভেতরের আর বাইরের পরিবেশের মধ্যে বাতাস স্থানান্তর স্থান হিসেবে কাজ করে এই উঠোন। বাইরের গরম বাতাস থেকে বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্য এই উঠোন একটি দক্ষ থারমাল প্রটেক্টর বা তাপ রক্ষাকারী হিসেবে কাজ করে। কিন্তু এই উঠোনে শীতল প্রভাবের তখনই ঘটে যখন সেখানে কোনো জলাশয় থাকে।

পানি বাষ্পীভূত হওয়ার সাথে সাথে এটি গরম বাতাসকে শীতল করে। এটি বাষ্পীভূত শীতল প্রক্রিয়া হিসেবে পরিচিত এবং হুইঝো-এর অভ্যন্তরীণ আঙিনায় এই প্রক্রিয়া স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।

অতীতে, হুইঝো শহরে থাকা পরিবারগুলো তাদের উঠোনে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করত। কারণ, তারা বিশ্বাস করত যে এই পানি সংগ্রহের ফলে তাদের সম্পদ রক্ষা পাবে এবং সম্পদ বাড়বে। এই কারণে, ছাদ থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য ভেতরের উঠোনগুলোর চারপাশে চ্যানেল রাখা হতো।

ইউ ব্যাখ্যা করে যে, কিছু ধনী পরিবার তাদের আঙ্গিনার মাটি খনন করে এমন নিষ্কাশন ব্যবস্থা স্থাপন করেছিল যাতে বৃষ্টির পানি ভূগর্ভস্থ প্রবেশদ্বারকে ঘিরে ফেলার পরই বেরিয়ে যেতে পারে।

হুইঝো শহরের বাড়িগুলোয় ভেতরের উঠোনের মাঝখানে একটি বড় পাথরের বেসিন রয়েছে যা প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য পানি সঞ্চয় করে এবং আগুন ধরলে এই পানি দিয়ে যেন নেভানো যায়।

হুইঝু-এর দুটি ঐতিহ্যবাহী গ্রামে আঙিনা থাকা বাড়িগুলো নিয়ে ২০২১ সালে একটি সমীক্ষা হয়। সেখান থেকে জানা যায়, বাষ্পীভবন শীতল প্রক্রিয়ার ফলে ঘরের আঙ্গিনার গড় তাপমাত্রা বাইরের গড় তাপমাত্রার চাইতে দুই দশমিক ছয় ডিগ্রি থেকে চার দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যায়।

সবুজ প্রযুক্তি

বর্তমানে, আধুনিক ভবনগুলোয় খালি জায়গা ফিরে আসার ক্ষেত্রে সরকারী বিধি-বিধানগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ২০১৩ সাল থেকে, চীনের কেন্দ্রীয় সরকার সবুজ ভবন নির্মাণে উৎসাহ দিয়ে আসছে, যা সম্পদ সংরক্ষণ করছে এবং মানুষের নিয়মিত জীবনে দূষণের মাত্রা কমে আসছে।

২০১৯ সালের একটি সরকারি নির্দেশনায় ২০২২ সালের মধ্যে ৭০ শতাংশ ভবনে খোলা জায়গা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন তারা "সবুজ" মান অর্জন করতে পারে। এই সবুজ মান অর্জনের ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট মানদণ্ড রয়েছে যেমন তাপ নিয়ন্ত্রণের গুণমান এবং নির্মাণ সামগ্রীর পরিবেশগত মান রক্ষা করা।

স্থপতিরা এখন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের কথা মাথায় রেখে নতুন ভবন ডিজাইন করছে এবং সেখানে খালি জায়গা রাখার সুবিধাগুলো পরীক্ষা করছেন। পূর্ব চীনের জিনান শহরের ন্যাশনাল হেভি ভেহিকল ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি রিসার্চ সেন্টার এর একটি উদাহরণ।

১৮-তলাসম্পন্ন, কাঁচের দেওয়ালে তৈরি এই টাওয়ারটির কাজ ২০২২ সালে শেষ হয়েছিল। এই ভবনের মাঝখানে একটি বিশাল খালি জায়গা রয়েছে যা পঞ্চম তলা থেকে একদম মাথা পর্যন্ত বিস্তৃত।

সাংহাই-ভিত্তিক সিসিডিআই গ্রুপের স্থপতিদের মতে, সমস্ত লিফট, টয়লেট এবং মিটিং রুম এই ফাকা জায়গার চারপাশে অবস্থিত, যা ভবনের ভেতরে প্রাকৃতিক আলো এবং বায়ুচলাচল বাড়াতে সাহায্য করেছে। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে।

হুইঝো অঞ্চলের জুয়ানচেং এর জিক্সি জেলার পুরানো টাউন হল ভবনটি ২০১৩ সালে সংস্কার করা হয়েছিল এবং ভবনটিকে একটি জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়।

হুইঝো স্থাপত্য শৈলীর আদলে এই কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করা হয়েছে। এর ভেতরে বেশ কয়েকটি খালি জায়গা রাখা হয়েছে। এর পেছনে যারা কাজ করেছেন তাদের মতে এই ফাঁকা জায়গা রাখার ফলে কমপ্লেক্সের ভিতরে বায়ু সরবরাহ করতে পারছে।

এবং এর ফলে সেখানকার বেশ কয়েকটি প্রাচীন গাছ সংরক্ষণ করাও সহজ হচ্ছে। একই সময়ে, সিচুয়ান প্রদেশের একটি জনপ্রিয় পর্যটন শহর - যে প্রদেশটি গরম, আর্দ্র গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আবহাওয়ার জন্য পরিচিত – সেখানে বেশ কয়েকটি বৃত্তাকার ঘর নির্মাণ করা হয়েছে যার প্রত্যেকটির মাঝখানে ফাঁকা জায়গা রাখা হয়েছে।

কিছু আকাশচুম্বী অট্টালিকা তাদের ভবনে বায়ুপ্রবাহ বাড়াতে ভবনের ভেতরে ফাঁকা জায়গা রাখার মাধ্যমে বাতাস চলাচলের নীতি গ্রহণের চেষ্টা করছে।

বাস্তবিক কারণে তারা বাহ্যিক আঙিনা নির্মাণ না করেই ভেতরে এই ফাঁকা জায়গার ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। চীনের গুয়াংদং প্রদেশের ডংগুয়ান শহরের টিবিএ টাওয়ার এর একটি উদাহরণ হতে পারে।

ভবনটি বায়ুচলাচল টিউবের মাধ্যমে ৬৮ তলা পর্যন্ত প্রাকৃতিক বায়ু প্রবাহ সরবরাহ করেও যা অনেকটা অভ্যন্তরীণ ফাঁকা জায়গার মতোই কাজ করে। এর উদ্দেশ্য হল বসন্ত এবং শরৎকালে ভবনের তাপমাত্রা আরামদায়ক মাত্রায় বজায় রাখা এবং সেটা শুধু প্রাকৃতিক বায়ুচলাচল ব্যবহার করে।

টাওয়ারের সাধারণ পরিচালক এক স্থানীয় সংবাদপত্রে ব্যাখ্যা করেছেন।

ইন্সটিটিউট অব এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজের এনভায়রনমেন্টাল হিউম্যানিটিজের পোস্ট ডক্টরাল গবেষক ওয়াং জেংফেং-এর মতে, প্রাচীনকালের মানুষদের মধ্যে যে "সবুজকে রক্ষা করার জ্ঞান" ছিল তার প্রমাণ ভবনের ভেতরে এমন উঠোন বা ফাকা জায়গা রাখা।

বর্তমান জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে প্রাচীন এই কৌশলগুলো আধুনিক স্থাপত্য নকশাকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে। যেখানে পরোক্ষভাবে ভবনকে শীতল রাখার কৌশল রয়েছে। নেদারল্যান্ডসের লেইডেন ইউনিভার্সিটি এলাকায় ওয়াং এর আগে একজন স্থপতি হিসেবে কাজ করতেন।

প্যাসিভ কুলিং বা পরোক্ষ শীতলীকরণ এমন এক পদ্ধতি যা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহার না করেই একটি ভবনকে ঠান্ডা রাখতে পারে। সেই অনুযায়ী ভবনটি ডিজাইন করা হয়েছে এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

কিন্তু ওয়াং উল্লেখ করেছেন যে বর্তমান নকশায় ভেতরে খালি জায়গা অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে কিছু অসুবিধা রয়েছে। এই খালি জায়গা মূলত ভবনে প্রাকৃতিক আলো-বাতাস চলাচলের পাশাপাশি বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করার জন্য সুপরিচিত।

তবে তাদের নীতিগুলি অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় প্রয়োগ করতে হবে। ঐতিহ্যবাহী উঠোনগুলো বিভিন্ন আকার, আকৃতি এবং বৈশিষ্ট্যের হয়ে থাকে। মূলত প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর নির্ভর করে ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের উঠোন তৈরি করা হতো।

উদাহরণস্বরূপ, একেক অঞ্চলে সূর্যালোক বা বৃষ্টিপাতের মাত্রা একেক রকম – সেই দিকগুলো বিবেচনা করে আধুনিক ভবনগুলোয় এমন উঠোন বা ফাঁকা জায়গা যুক্ত করার জন্য ডিজাইনারদের সংবেদনশীল হতে হবে।

তাদের প্রকল্পের পরিস্থিতি এবং প্রেক্ষাপট বিবেচনা করতে হবে। কেননা এই প্রাচীন পদ্ধতি কোন সার্বজনীন সমাধান নয়।

এই পদ্ধতি সব জায়গায় ঢালাওভাবে প্রয়োগ করা যাবে না বলে ওয়াং জানান। "এখন কৃত্রিম উপায়ে একই সময়ে আলো, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ এবং পানি সরবরাহের মতো সেবা ব্যাপকভাবে পাওয়া যাচ্ছে এবং মানুষ এর পরিবেশগত ক্ষতি বিবেচনা না করেই সেগুলো ব্যবহার করছে,” তিনি বলেন।

"আমরা যদি আমাদের বর্তমান আচরণ পরিবর্তন না করি তবে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে টেকসই হওয়া সহজ হবে না।"

আধুনিক চীনে বাড়ির ভেতরে উঠোন বা ফাঁকা জায়গা কেন আরও মনোযোগ আকর্ষণ করেছে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, ওয়াং বলেন যে, উঠোনগুলো পরিবার বা সম্প্রদায়ের জমায়েতের স্থান হিসাবে ব্যবহারের জন্যও ডিজাইন করা হতো। তাদের একটি আনুষ্ঠানিক অর্থ আছে। তার মতে, " কংক্রিট এবং কাঁচের জঙ্গলে বসবাসকারী মানুষদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তনগুলো সম্ভবত পুরনো স্মৃতিকে জাগিয়ে তুলেছে।"

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর
ঢাকা রিজেন্সিতে হ্যালোইন উৎসবে ভূতেরাও অতিথি!
ঢাকা রিজেন্সিতে হ্যালোইন উৎসবে ভূতেরাও অতিথি!
সরিষার তেলের যত গুণ
সরিষার তেলের যত গুণ
ক্যাপসিকাম খাওয়ার ৮ উপকারিতা
ক্যাপসিকাম খাওয়ার ৮ উপকারিতা
পেঁপে খাওয়ার যত উপকার
পেঁপে খাওয়ার যত উপকার
ত্বকের যত্নে কমলার খোসা
ত্বকের যত্নে কমলার খোসা
শীত আসার আগেই গোড়ালি ফেটে চৌচির? জানুন সমধান
শীত আসার আগেই গোড়ালি ফেটে চৌচির? জানুন সমধান
চন্দন : সৌন্দর্যের চিরন্তন রহস্য
চন্দন : সৌন্দর্যের চিরন্তন রহস্য
লাউ খেলে ত্বকের যেসব উপকার হয়
লাউ খেলে ত্বকের যেসব উপকার হয়
চুলে তেল লাগানোর কায়দাকানুন
চুলে তেল লাগানোর কায়দাকানুন
লিভার ভালো রাখতে নিয়মিত খান এই ৫ খাবার
লিভার ভালো রাখতে নিয়মিত খান এই ৫ খাবার
হাড়ের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ যেসব উপাদান
হাড়ের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ যেসব উপাদান
গ্রিন টি নাকি রং চা, কোনটি বেশি উপকারী?
গ্রিন টি নাকি রং চা, কোনটি বেশি উপকারী?
সর্বশেষ খবর
দেশে কার্ডভিত্তিক লেনদেন বেড়েছে তিন গুণের বেশি
দেশে কার্ডভিত্তিক লেনদেন বেড়েছে তিন গুণের বেশি

১৭ মিনিট আগে | অর্থনীতি

আয়ারল্যান্ডের নতুন প্রেসিডেন্ট ক্যাথরিন কনলি
আয়ারল্যান্ডের নতুন প্রেসিডেন্ট ক্যাথরিন কনলি

৫২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’, যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’, যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিমিয়ার লিগে ম্যানইউর টানা তৃতীয় জয়
প্রিমিয়ার লিগে ম্যানইউর টানা তৃতীয় জয়

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাটগ্রামে অবৈধভাবে সার মজুত ও বেশি দামে বিক্রি, জব্দ-জরিমানা
পাটগ্রামে অবৈধভাবে সার মজুত ও বেশি দামে বিক্রি, জব্দ-জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় বিএনপির ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ
কুমিল্লায় বিএনপির ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দ্বিনি বিষয়ে আলেমদের দ্বারস্থ হতে হবে
দ্বিনি বিষয়ে আলেমদের দ্বারস্থ হতে হবে

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বিএনপি-জামায়াতের বালখিল্য
বিএনপি-জামায়াতের বালখিল্য

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

গৃহকর্মী হত্যার রহস্য উদঘাটন, মূল আসামি গ্রেফতার
গৃহকর্মী হত্যার রহস্য উদঘাটন, মূল আসামি গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফোনে ডেকে নিয়ে তরুণকে হত্যার অভিযোগ
ফোনে ডেকে নিয়ে তরুণকে হত্যার অভিযোগ

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাটকা না ধরার প্রতিশ্রুতি জেলেদের
জাটকা না ধরার প্রতিশ্রুতি জেলেদের

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’
যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একটা দল শেখ হাসিনার মতোই মিথ্যাচার করছে: রিজভী
একটা দল শেখ হাসিনার মতোই মিথ্যাচার করছে: রিজভী

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঘরের মাঠে সান্ডারল্যান্ডের কাছে হারল চেলসি
ঘরের মাঠে সান্ডারল্যান্ডের কাছে হারল চেলসি

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্বকাপে ৭ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান স্পিনারের রেকর্ড
বিশ্বকাপে ৭ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান স্পিনারের রেকর্ড

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বন্ধুদের সঙ্গে ছবি তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তরুণের মৃত্যু
বন্ধুদের সঙ্গে ছবি তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তরুণের মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অপ্রতিরোধ্য বায়ার্ন, লিগে টানা ৮ জয়
অপ্রতিরোধ্য বায়ার্ন, লিগে টানা ৮ জয়

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মধ্যরাত থেকে মেঘনা ও তেঁতুলিয়ায় ইলিশ ধরা শুরু
মধ্যরাত থেকে মেঘনা ও তেঁতুলিয়ায় ইলিশ ধরা শুরু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি মহাসড়কে চলতে দেয়া হবে না: বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান
লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি মহাসড়কে চলতে দেয়া হবে না: বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রিজার্ভ বৃদ্ধিকে স্বাগত জানাল আইএমএফ
রিজার্ভ বৃদ্ধিকে স্বাগত জানাল আইএমএফ

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সাফ অ্যাথলেটিকসে প্রথম পদক বাংলাদেশের
সাফ অ্যাথলেটিকসে প্রথম পদক বাংলাদেশের

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘সাইয়ারা’র পর নতুন ছবিতে অনীত, আয়ুষ্মানের শুভেচ্ছাবার্তা
‘সাইয়ারা’র পর নতুন ছবিতে অনীত, আয়ুষ্মানের শুভেচ্ছাবার্তা

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢামেকে হাজতির মৃত্যু
ঢামেকে হাজতির মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘১৭ বছর মানুষ ভোট দিতে পারেনি, নির্বাচনের নামে তামাশা হয়েছে’
‘১৭ বছর মানুষ ভোট দিতে পারেনি, নির্বাচনের নামে তামাশা হয়েছে’

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুমিল্লায় সেই ধর্ষণের ঘটনায় মামলা
কুমিল্লায় সেই ধর্ষণের ঘটনায় মামলা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
দিনাজপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তারেক রহমানের হাত ধরে দেশে কৃষি ও অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটবে: তৃপ্তি
তারেক রহমানের হাত ধরে দেশে কৃষি ও অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটবে: তৃপ্তি

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জোটগতভাবে ৩০০ আসনে নির্বাচনের ঘোষণা সিপিবির
জোটগতভাবে ৩০০ আসনে নির্বাচনের ঘোষণা সিপিবির

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাউজানে আবারও গুলিতে একজনের মৃত্যু
রাউজানে আবারও গুলিতে একজনের মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নারায়ণগঞ্জে সাবেক যুবদল নেতাদের মিলনমেলা
নারায়ণগঞ্জে সাবেক যুবদল নেতাদের মিলনমেলা

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা নিয়ে সৌদি আরবের পরিকল্পনা ফাঁস!
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা নিয়ে সৌদি আরবের পরিকল্পনা ফাঁস!

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সালমান শাহ-মৌসুমী জুটি ভাঙে সামিরার কারণে : সালমানের সহকারী
সালমান শাহ-মৌসুমী জুটি ভাঙে সামিরার কারণে : সালমানের সহকারী

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আসামিদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ইমিগ্রেশনে তথ্য পাঠিয়েছে পুলিশ
আসামিদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ইমিগ্রেশনে তথ্য পাঠিয়েছে পুলিশ

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জাতিসংঘের পরবর্তী মহাসচিব নির্বাচন নিয়ে মতবিরোধ, যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া
জাতিসংঘের পরবর্তী মহাসচিব নির্বাচন নিয়ে মতবিরোধ, যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংঘাতের জন্য সবাই মুখিয়ে আছে : তথ্য উপদেষ্টা
সংঘাতের জন্য সবাই মুখিয়ে আছে : তথ্য উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে সব দলকেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান ফখরুলের
গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে সব দলকেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান ফখরুলের

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রকাশ্যে চিত্রনায়িকা নিপুণ
প্রকাশ্যে চিত্রনায়িকা নিপুণ

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জেন-জিরা হাসিনার ‘মিথ’ ভেঙে দিয়েছে : চিফ প্রসিকিউটর
জেন-জিরা হাসিনার ‘মিথ’ ভেঙে দিয়েছে : চিফ প্রসিকিউটর

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাত দিনে ইউক্রেনের নতুন ১০ এলাকার দখল রাশিয়ার
সাত দিনে ইউক্রেনের নতুন ১০ এলাকার দখল রাশিয়ার

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারিশদের তথ্য এমআইএস সফটওয়্যারে সংরক্ষণের নির্দেশ
মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারিশদের তথ্য এমআইএস সফটওয়্যারে সংরক্ষণের নির্দেশ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তনের সব দরজা বন্ধ করতে হবে : সালাহউদ্দিন
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তনের সব দরজা বন্ধ করতে হবে : সালাহউদ্দিন

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘ইসলামোফোবিয়ার’ বিরুদ্ধে দাঁড়াতে নিজের মুসলিম পরিচয়ে দৃঢ় অবস্থান মামদানির
‘ইসলামোফোবিয়ার’ বিরুদ্ধে দাঁড়াতে নিজের মুসলিম পরিচয়ে দৃঢ় অবস্থান মামদানির

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শাপলা পেলে নির্বাচন, না পেলে নয়— এটি ‘চাপ সৃষ্টির রাজনীতি’
শাপলা পেলে নির্বাচন, না পেলে নয়— এটি ‘চাপ সৃষ্টির রাজনীতি’

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় নতুন বেসামরিক প্রধান হিসেবে স্টিভ ফ্যাগিনকে নিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের
গাজায় নতুন বেসামরিক প্রধান হিসেবে স্টিভ ফ্যাগিনকে নিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভালুকায় বিএনপির আনন্দ মিছিল
ভালুকায় বিএনপির আনন্দ মিছিল

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সরিষার তেলের যত গুণ
সরিষার তেলের যত গুণ

১৫ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বিয়ে করতে যাওয়া বরকে ধরে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা
বিয়ে করতে যাওয়া বরকে ধরে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ
প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বাসে ছিল ২৩৪টি স্মার্টফোন, ২০ জনের প্রাণহানিতে থাকতে পারে ব্যাটারি বিস্ফোরণের প্রভাব
বাসে ছিল ২৩৪টি স্মার্টফোন, ২০ জনের প্রাণহানিতে থাকতে পারে ব্যাটারি বিস্ফোরণের প্রভাব

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দু'পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দু'পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুক পোস্টে বিচ্ছেদের গুঞ্জন, পূর্ণিমা জানালেন সত্যিটা কী
ফেসবুক পোস্টে বিচ্ছেদের গুঞ্জন, পূর্ণিমা জানালেন সত্যিটা কী

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশ্নের সেট ‘পদ্মা’ হলে দিতে হবে কাশি, বারবার কাশতে গিয়ে ধরা পড়লেন পরীক্ষার্থী
প্রশ্নের সেট ‘পদ্মা’ হলে দিতে হবে কাশি, বারবার কাশতে গিয়ে ধরা পড়লেন পরীক্ষার্থী

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টেকনোক্র্যাট সরকারের কাছে গাজার ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি হামাস
টেকনোক্র্যাট সরকারের কাছে গাজার ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি হামাস

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিমানবন্দরে আগুনের ঘটনা তদন্তে আসছে ৪ দেশের বিশেষজ্ঞ টিম : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিমানবন্দরে আগুনের ঘটনা তদন্তে আসছে ৪ দেশের বিশেষজ্ঞ টিম : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে গাজার আকাশে টহল দিচ্ছে মার্কিন ড্রোন
যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে গাজার আকাশে টহল দিচ্ছে মার্কিন ড্রোন

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লঘুচাপ রূপ নিতে পারে নিম্নচাপে, বৃষ্টির আভাস
লঘুচাপ রূপ নিতে পারে নিম্নচাপে, বৃষ্টির আভাস

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তিতে ইয়েমেনে জাতিসংঘের ৭ কর্মী আটক
ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তিতে ইয়েমেনে জাতিসংঘের ৭ কর্মী আটক

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ সফরে বিরল রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিলক
বাংলাদেশ সফরে বিরল রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিলক

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ধর্ষণের অভিযোগ করে ভারতে নারী চিকিৎসকের আত্মহত্যা, চার পৃষ্ঠার চিঠি
ধর্ষণের অভিযোগ করে ভারতে নারী চিকিৎসকের আত্মহত্যা, চার পৃষ্ঠার চিঠি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
একটি ফোন কলের অপেক্ষা
একটি ফোন কলের অপেক্ষা

প্রথম পৃষ্ঠা

তাবিথের নেতৃত্বে বাফুফের প্রথম বছর
তাবিথের নেতৃত্বে বাফুফের প্রথম বছর

মাঠে ময়দানে

বিএনপির প্রার্থী বেগম জিয়া অথবা তারেক রহমান
বিএনপির প্রার্থী বেগম জিয়া অথবা তারেক রহমান

নগর জীবন

একজন ক্ষণজন্মা ধূমকেতু
একজন ক্ষণজন্মা ধূমকেতু

শোবিজ

অভিভাবকশূন্য মিডিয়া ইন্ডাস্ট্র্রি
অভিভাবকশূন্য মিডিয়া ইন্ডাস্ট্র্রি

শোবিজ

বিল গেটসের চোখে সুপারহিরো অমিতাভ
বিল গেটসের চোখে সুপারহিরো অমিতাভ

শোবিজ

জাতীয় ক্রিকেটে দুরন্ত সেঞ্চুরি আরিফুলের
জাতীয় ক্রিকেটে দুরন্ত সেঞ্চুরি আরিফুলের

মাঠে ময়দানে

মন্ত্রণালয় ও মাঠ প্রশাসনে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন
মন্ত্রণালয় ও মাঠ প্রশাসনে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন

প্রথম পৃষ্ঠা

ফুরফুরে মেজাজে বুবলী
ফুরফুরে মেজাজে বুবলী

শোবিজ

অনুশীলনে টাইগাররা
অনুশীলনে টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

নিগারদের বিশ্বকাপ শেষ আজ
নিগারদের বিশ্বকাপ শেষ আজ

মাঠে ময়দানে

খেলল কিংস জিতল আল সিব
খেলল কিংস জিতল আল সিব

মাঠে ময়দানে

অ্যালানার ৭ উইকেট
অ্যালানার ৭ উইকেট

মাঠে ময়দানে

তদন্ত করবেন চার দেশের বিশেষজ্ঞরা
তদন্ত করবেন চার দেশের বিশেষজ্ঞরা

পেছনের পৃষ্ঠা

অবকাঠামো ছাড়াই বিদ্যুতের গাড়ি!
অবকাঠামো ছাড়াই বিদ্যুতের গাড়ি!

পেছনের পৃষ্ঠা

ওয়ানডেতে শচীনের পরেই কোহলি
ওয়ানডেতে শচীনের পরেই কোহলি

মাঠে ময়দানে

বিরতিতে জাহ্নবী
বিরতিতে জাহ্নবী

শোবিজ

বিনামূল্যের ট্রলিতেও দিতে হয় টাকা
বিনামূল্যের ট্রলিতেও দিতে হয় টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নিঃস্ব থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক
নিঃস্ব থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক

প্রথম পৃষ্ঠা

নিজামী, মীর কাসেমদের ফাঁসি মিথ্যা মামলায়
নিজামী, মীর কাসেমদের ফাঁসি মিথ্যা মামলায়

প্রথম পৃষ্ঠা

জামায়াত অফিস ভাঙচুর-হত্যাচেষ্টা সাংবাদিক কারাগারে
জামায়াত অফিস ভাঙচুর-হত্যাচেষ্টা সাংবাদিক কারাগারে

দেশগ্রাম

গলার কাঁটা স্লুইসগেট
গলার কাঁটা স্লুইসগেট

দেশগ্রাম

সাগরে জেগে ওঠা রূপকথার রাজ্য
সাগরে জেগে ওঠা রূপকথার রাজ্য

দেশগ্রাম

ছয় জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১১
ছয় জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১১

দেশগ্রাম

সীমান্তে ভারতীয় পণ্য জব্দ
সীমান্তে ভারতীয় পণ্য জব্দ

দেশগ্রাম

অস্ত্র-মাদকসহ আটক যুবদল নেতা
অস্ত্র-মাদকসহ আটক যুবদল নেতা

দেশগ্রাম

দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত বিএনপি নেতা
দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত বিএনপি নেতা

দেশগ্রাম

অবৈধভাবে টিকিট কেনায় জরিমানা সাত যাত্রীর
অবৈধভাবে টিকিট কেনায় জরিমানা সাত যাত্রীর

দেশগ্রাম

মিনি ট্রেন চাপায় প্রাণ গেল শিশুর
মিনি ট্রেন চাপায় প্রাণ গেল শিশুর

দেশগ্রাম