অন্যের নরম, কোমল সিল্কি চুল দেখে আফসোস হয়! তখন নিজের অজান্তেই মুখ থেকে বেরোয় উফ! কী দারুণ সিল্কি স্ট্রেইট চুল! কিন্তু সবসময় তা সুন্দর ও গর্জিয়াস রাখা কতটা কঠিন তা অনেকেরই অজানা। আর হেয়ার স্ট্রেইটের ঠিকঠাক নিয়মটি কজন জানেন! আসলে হেয়ার স্ট্রেইট তো অনেকভাবেই করা যায়। আর কী কী উপায়ে হেয়ার স্ট্রেইট করা যায় বা এজন্য কোন কোন হেয়ার ট্রিটমেন্ট প্রযোজ্য তা জেনে রাখা উচিত।
হেয়ার স্ট্রেইট কী?
চুলের প্রাকৃতিক বন্ডকে ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে ভেঙে হেয়ার স্ট্রেইট করানো হয়। বিদেশে একে পারমানেন্ট স্ট্রেইট বলা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে হেয়ার স্ট্রেইটকে কিশোরী থেকে বয়োজ্যেষ্ঠরা রিবন্ডিং নামে চেনেন। দেশি স্যালন বা পারলারগুলো সাধারণত চুলের লম্বা এবং ঘনত্বের ওপর ভিত্তি করে নানা রকম হেয়ার স্ট্রেইট করানো হয়।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে?
যেহেতু চুলের প্রাকৃতিক বন্ড ভেঙে হেয়ার স্ট্রেইট করা হয় তাই এতে কিছুটা ঝুঁকি রয়েছে। তবে কিছু পরামর্শ, যত্ন এবং পদ্ধতি সম্পর্কে জানলে এটা তেমন কোনো সমস্যা নয়। স্যালন বা পারলারগুলো যে পারমানেন্ট ব্লো ড্রাই করে থাকে তাকে ব্রাজিলিয়ান ব্লো আউট বলে থাকে। এই পদ্ধতিতেও হেয়ার স্ট্রেইট রাখা যায়। এটা সাধারণত ন্যাচারাল স্ট্রেইট লুক দেয়। কেরাটিন ট্রিটমেন্ট নামে একটা ট্রিটমেন্ট আমাদের দেশে প্রচলিত রয়েছে। এতে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল থাকে। তাই বিশেষজ্ঞরা এ পদ্ধতিকে আমাদের দেশে নিষিদ্ধ করেছেন। তবে কেমিক্যাল ছাড়া কেরাটিন প্রটিন সমৃদ্ধ হেয়ার প্যাক, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার এবং সেরাম ইত্যাদি ব্যবহার করে হেয়ার স্ট্রেইট করা যায়।
যে কোনো হেয়ার কেয়ার রুটিনের শুরুতেই আসে ক্লিনজিং ও কন্ডিশনিং। আর এজন্য চুলের যে কোনো প্রডাক্ট সিলেকশনে হতে হবে খুবই সতর্ক। হেয়ার স্ট্রেইটের জন্য প্রফেশনাল শ্যাম্পু পাওয়া যায়। নিয়মিত এই শ্যাম্পু বাড়িতে ব্যবহার করে ড্রায়ার দিয়ে ড্রাই করলেও স্ট্রেইট লুক থাকে। তাছাড়া প্রফেশনাল পারলার বা বিউটি ক্লিনিকগুলোতে স্মুদি ট্রিটমেন্ট, প্রো কেরাটিন ট্রিটমেন্ট, এক্সটেনফো কেয়ার এবং রিবন্ডিং স্পা ইত্যাদি নামে হেয়ার স্ট্রেইট রাখার বেশ কিছু ট্রিটমেন্ট পেয়ে যাবেন।
প্রাকৃতিক হেয়ার ফরমুলা
ডিম ও অলিভ অয়েলের মিশ্রণ চুলকে করে সিল্কি ও ময়েশ্চারার। পাশাপাশি চুলকে স্ট্রেইটও করে। ২টা ডিম ও ৪ চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মাথায় ভালো করে লাগান। এবার বড় দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
লেখা : শোভন সাহা
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ
