ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে অনলাইনে খতিয়ান দেখা, খাজনা দেয়ার ক্ষেত্রে ওয়ানস্টপ সার্ভিস ব্যবস্থা চালু হয়েছে। দিনে দিনে ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ের সমস্যা সমাধানে সিস্টেম ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে তা সমাধানের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দৈনিক আজাদী’র সম্পাদক এমএ মালেকের একুশে পদক প্রাপ্তি উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
প্রেসক্লাব সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ।
উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা, সাবেক সভাপতি কলিম সরওয়ার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)র সহ-সভাপতি শহীদ উল আলম, সাবেক সিইউজে সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, এম নাসিরুল হক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির সাবেক চেয়ারম্যান মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত, বিএফইউজে’র সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসিফ সিরাজ, তপন চক্রবর্তী।
মন্ত্রী বলেন, যে মন্ত্রণালয় নিয়ে আগে মানুষ নেগেটিভ চিন্তা করতেন। সেই মন্ত্রণালয় এখন ডাইনামিক মন্ত্রণালয় হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে। বর্তমানে দশটি ভালো মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ভূমিমন্ত্রণালয় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। তবে ভূমি রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টি ভূমি মন্ত্রণালয়ের বাইরে আইন মন্ত্রণালয়ের আওতায় হওয়াতে সমন্বয়ের অভাবে এখনো মানুষের একটু ভোগান্তি হচ্ছে।
একুশে পদকপ্রাপ্ত সংবর্ধিত সাংবাদিক এম এ মালেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমার বাবা ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক রাষ্ট্রদ্রোহীতার ভয়কে উপেক্ষা করে স্বাধীনতার প্রথম কবিতা ছাপিয়েছিলেন দৈনিক আজাদী পত্রিকায়। ভাষার জন্য অনন্য নজির স্থাপন করেছে বাঙালি। পৃথিবীতে এমন কোনো নজির নেই, যারা মায়ের ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন। কিন্তু বাঙালি জাতি তা দেখিয়েছেন।
প্রেসক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস বলেন, যোগ্য ব্যক্তি এম এ মালেক’কে উপযুক্ত পুরস্কার দিয়ে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামবাসীকে সম্মানিত করেছেন।
বক্তব্যকালে বিএফইউজের সাবেক সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিন পরিবারের পক্ষ থেকেও সংবর্ধিত আজাদী সম্পাদককে শুভেচ্ছা জানান। তিনি নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকদের উৎসাহ দেয়ার ক্ষেত্রেও আজাদী সম্পাদকের অতীত তুলে ধরে স্মৃতিখণ্ড আলোচনা করেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন