স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। এ ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কর্মচারীদের বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগ দ্রুত তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলা দায়েরসহ শৃঙ্খলামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্থগিতসহ ব্যক্তির বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।
সোমবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের বাজেট অধিবেশনের বৈঠকে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলামের (চাপাইনবাবগঞ্জ-২) প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরো জানান, স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করার জন্য কোভিড-১৯-এর বিভিন্ন কার্যক্রমে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কার্যক্রম মন্ত্রণালয় কর্তৃক পর্যবেক্ষণ করা হয়ে থাকে। এ বিষয়ে কোনো অনিয়ম বা অব্যবস্থাপনা পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। তিনি স্বাস্থ্যখাতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে প্রাপ্ত অভিযোগের আলোকে দ্রুত তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্থগিতসহ ব্যক্তির বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।
এছাড়াও সরকারি দলের মোরশেদ আলমের (নোয়াখারী-২) প্রশ্নের জবাবে লিখিত জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, সারাদেশে অবৈধভাবে হাসপাতাল/ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালিকা তৈরির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত ২৬ মে থেকে অবৈধ, অনিবন্ধিত ও লাইসেন্সবিহীন বেসরকারি হাসপাতাল/ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযাপন চলমান রয়েছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানসমুহকে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সহায়তায় জরিমানারসহ কার্যক্রম বন্ধ রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
অপর সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের প্রায় সকল প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা (টেস্ট) করার সুযোগ রয়েছে। শুধুমাত্র অল্প কিছু সংখ্যক টেস্ট অন্যত্র করার প্রয়োজনীয়তা থাকতে পারে। তবে কোনো চিকিৎসক যদি প্রয়োজনে/অপ্রয়োজনে রোগীদের চিকিৎসা সেবা সংক্রান্ত টেস্টসমূহ নিয়ে কমিশন বাণিজ্যে যুক্ত আছেন বলে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে উক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন