ঢাকা-১৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের উপর হামলার প্রেক্ষিতে ১৩ দূতাবাসের দেয়া বিবৃতির জন্য তাদের ডেকে অসন্তোষ জানিয়েছে সরকার।
বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাষ্ট্রদূতদের ডেকে তাদের কূটনৈতিক আচরণবিধি সম্পর্কিত ভিয়েনা কনভেনশন স্মরণ করিয়ে গঠনমূলক হবার পরামর্শ দেয়া হয়। বলা হয়, সরকারকে পাশ কাটিয়ে বস্তুনিষ্ঠতা, নিরপেক্ষতা ও পক্ষপাতহীনতা বর্জিত আচরণ কেবলই পারস্পরিক আস্থার সংকট তৈরি করবে।
সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূতদের ব্রিফিং করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল খোরশেদ আলম। ছিলেন ঢাকা-১৭ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত। উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ সহ সংশ্লিষ্ট ১৩ দেশের রাষ্ট্রদূত। পরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা তলব নয়, তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে এর আগে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধিকে তলব করা হয়েছিল।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। ৩-৪ জন রাষ্ট্রদূত তাদের পক্ষ থেকে অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন। সরকারের বক্তব্য দেশগুলোর সদর দপ্তরেও পাঠানো হবে।
প্রতিমন্ত্রী লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১৭ জুলাই, ঢাকা-১৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলমকে কেন্দ্র করে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে কূটনৈতিক রীতিনীতি ভঙ্গ করে ঢাকাস্থ যে সকল দূতাবাস গণমাধ্যমে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছিল, আজ দুপুরে তাদের রাষ্ট্রদূতগণকে আমরা ডেকেছিলাম। তাদের কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণে আমরা আমাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছি। আমরা বলেছি যে, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা যা দিয়ে সারাদিনের শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনকে মূল্যায়ন করা ঠিক হবে না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, উনাদের যৌথ বিবৃতিটি যে ঘটনা প্রবাহের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে যথা সময়ের অনেক আগেই তড়িঘড়ি করে অপরিণতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, আশা করি আমাদের আজকের আলোচনার পর তারা সেটি নিশ্চয়ই উপলব্ধি করবেন এবং ভবিষ্যতে এমন অকূটনৈতিক আচরণ থেকে বিরত থাকবেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত
