বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু বলেছেন, ‘আমরা সচেতন না হলে গণতন্ত্র মুখ থুবড়ে পড়বে। এখন বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হচ্ছে, একটি গনতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত এবং একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রত্যকটি নেতাকর্মীকে সজাগ থাকতে হবে।’
আজ বুধবার চট্টগ্রামে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
সুলতান সালাউদ্দীন টুকু বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে এসেও আমরা স্বাধীনতা রক্ষার জন্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যে আন্দোলন সংগ্রাম করছি, সকলের ঐক্যের মধ্য দিয়েই তার সফলতা আমরা দেখতে পাব। এইজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন প্রজন্মের হাতে ঐক্যবদ্ধ জাতি তুলে দিতে চাই। যেখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও মুসলমান একসঙ্গে বসবাস করবে। সবাইকে নিয়ে নতুন বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। একজন নাগরিক হিসেবে সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে। সকল মানুষকে সম্মান ও ভালোবাসতে হবে। আমরা সম্প্রীতি, দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাস ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ চাই।’
‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে, দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে, আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এই নতুন বাংলাদেশে একটি সুন্দর সমাজ গড়তে চায় বিএনপি।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘যারা আওয়ামী লীগের দোসর ছিলেন, যারা জুলাই-আগস্ট গণহত্যা চালিয়েছে, যারা বাকশাল কায়েম করেছে, যারা ব্যাংক লুট করেছে, যারা এদেশের সাধারণ জনগণের টাকা লুট করে কানাডায় বাড়ি করেছে, অবিলম্বে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ