ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দরা বৃহস্পতিবার রাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কমিটিসহ নেতৃত্ব নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধের জেরে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জেলা বিএনপির দুই পক্ষের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে কেন্দ্রীয় বিএনপির সম্মেলনের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কমিটি ও নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকনের নেতৃত্বে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বড় একটি অংশ এক পক্ষে। তারা দুজনই জেলা বিএনপির ৩২ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
আহ্বায়ক আবদুল মান্নান, সদস্যসচিব সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে আরেক পক্ষ সক্রিয়। প্রায় দুই বছর ধরে উভয়পক্ষ পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করছে। সম্মেলন ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তাপ ছড়িয়েছে।
আগামী শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে ৩১ দাবি বাস্তবায়নে আয়োজিত সমাবেশ থেকে হাফিজুর রহমান ও জহিরুল হকের নেতৃত্বে জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের একাংশের নেতা-কর্মীরা ওই সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল মান্নান বলেন, সম্মেলনের নতুন তারিখ পরে জানানো হবে। আপাতত ১৮ জানুয়ারি সম্মেলন হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দরা আগামী ২০ জানুয়ারি জেলা বিএনপির দুই পক্ষের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। সেখানে নতুন তারিখ নির্ধারণ করে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ ডিসেম্বর বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিএনপির একাংশের সম্মেলন বর্জনসহ প্রতিহতের ঘোষণায় সেসময় সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তন করে ১৮ জানুয়ারি করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই