শ্লীলতাহানি রুখতে এবার নারীদের অন্তর্বাসেই লুকোনো থাকবে সুরক্ষার ব্যবস্থা। নারীদেহ স্পর্শ করলেই আর রক্ষা নেই, বৈদ্যুতিক শক খেয়ে একেবারে চিৎপটাং! সম্প্রতি এমনই বহু তাক লাগানো আবিষ্কারের পসরা সাজিয়ে অভিনব প্রদর্শনীর আয়োজন হচ্ছে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে।
২০১৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লির রাস্তায় চলন্ত বাসে এক তরুণীকে গণধর্ষণ ও পরবর্তীকালে তার মৃত্যুর ঘটনায় সারা দেশের সঙ্গে আলোড়িত হন চণ্ডীগড়ের মনীষা মোহন। এর পর দেশজুড়ে ধর্ষণের রমরমা ঠেকাতে উদ্যোগী হন পেশায় এ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার চণ্ডীগড়ের এ তরুণী। মাথা খাটিয়ে বের করে ফেলেন এমনই এক ব্রা, যা ছুঁলেই সারা শরীরে বিদ্যুত্ তরঙ্গ খেলে যাবে দুষ্কৃতীর। এমনকি ঝলসে যাবে তার দেহের বেশ কিছু অংশ। এসআরএম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মণীষার আবিষ্কৃত অন্তর্বাসে রয়েছে দু'টি আলাদা স্তর, যা ব্যবহারকারীর শরীরকে বিদ্যুতের ছোঁয়া থেকে বাঁচাবে। এ ছাড়া, এই পোশাকের সঙ্গে যুক্ত থাকবে জিপিএস ও জিএমএস ব্যবস্থা, বিপদে পড়লে যার সাহায্যে আত্মীয়-বন্ধুদের কাছে চটজলদি সাহায্য চাইতে পারবেন আক্রান্ত মহিলা।
জুলাই মাসের ১ থেকে ২০ তারিখ রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির উদ্যোগে রাষ্ট্রপতি ভবনে শুরু হতে চলেছে এ আকর্ষণীয় প্রদর্শনী, যাতে মণীষার সঙ্গেই অংশগ্রহণ করতে চলেছেন বেশ কয়েকজন তরুণ শিল্পী, সাহিত্যিক ও আবিষ্কারক। তৃণমূল স্তরের প্রতিভাধরদের উত্সাহ দিতেই এই আয়োজন। ধর্ষক নিরোধক অন্তর্বাস ছাড়া প্রদর্শনীতে থাকছে রাজস্থানের গুমেল সিং ঢোন্ডসির তৈরি যন্ত্র, যার সাহায্যে মাত্র ২৫-৪০ দিনের মধ্যে জঞ্জাল থেকে জৈব সার তৈরি করা যাবে। থাকছে হরিয়ানার ধরমবীর কাম্বোজের সৃষ্ট পোর্টেবল যন্ত্র, যার সাহায্যে ওষধি গাছ-গাছড়া থেকে নির্যাস নিংড়ে নেওয়া যাবে সহজেই। আবার উন্নত কলাপাতা নিয়ে প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকছে তামিল নাড়ুর স্কুলছাত্র টেনিথ আদিত্য। এই কলাপাতা নাগাড়ে এক বছর পর্যন্ত পচবে না বলে দাবি আবিষ্কারকের। ফলে জিনিসপত্র মুড়ে রাখার জন্য তা অনায়াসে ব্যবহার করা যাবে।
জানা গেছে, উঠতি গবেষকদের আবিষ্কারগুলি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হবে রাষ্ট্রপতি ভবনে। প্রদর্শনীর কয়েক দিন অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে নিজে দেখা করে উত্সাহ দেবেন স্বয়ং রাষ্ট্রপতি।