মেইজি ভিজেনস নামের মেয়েটির পড়াশোনায় বেশ স্কুলের শিক্ষকরা। কেবল শিক্ষকরা নয়, চিকিৎসা বিজ্ঞানেরও এক বিস্ময় মেইজি। এই মেয়েটির যখন জন্ম হয়, তখন তার শরীরে একটু রক্ত ছিল না। এখন সে ৪ বছরের ফুটফুটে শিশু। এর আগে হিমোগ্লোবিন লেভেল ৪ নিয়ে শিশুর জন্মের রেকর্ড রয়েছে। এটাই ছিল সর্বনিম্নমাত্রা।
আয়ারল্যান্ডের ওয়াটারফোর্ড কাউন্টিতে ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে জন্ম মেইজির। জন্মের সময় চিকিৎসকদের রিপোর্টে তার দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা শূন্য এবং তার শিরায় খুব পাতলা স্তরের প্লাজমা রয়েছে। জন্মের সময় মায়ের দেহ শিশুর দেহে রক্ত সরবরাহ করে। কিন্তু মেইজির দেহের সমস্ত রক্ত থেকে যায় তার মায়ের দেহে। জন্মের ছয় সপ্তাহ আগে থেকেই মাকে সিজারিয়ার বিভাগে তদারকিতে রাখা হয়। তার মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা ছিল।
রক্ত ছাড়া জন্মের পর বাঁচার কথা ছিল না মেইজির। কিন্তু সে বেঁচে থাকে। টানা দুই সপ্তাহ ধরে তার দেহে রক্ত ও প্লেটেলেট দেওয়া হয়।
এ ঘটনা যে নিঃসন্দেহে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব ঘটনা। বিস্মিত মেয়েটির মা এমা নিজেও। জন্মের পর থেকেই তার মেয়ে চিকিৎসক ও বিজ্ঞানের পড়াশোনা ও গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ জন্য ব্যাপক খুশিও তিনি। তিনি জানান, গর্ভবতী থাকাকালীন স্বাভাবিক ছিলেন তিনি। তবে ৩৪ সপ্তাহের মাথায় দেহ প্রচুর ফুলে যায়।
চিকিৎসকদের প্রাথমিক ধারণা, মায়ের গর্ভের মেমব্রেন সম্ভবত বিচ্ছিন্ন হয়ে শিশুর দেহ থেকে রক্ত নিয়ে নেয়। ২০০৯-এ জন্ম নেয়া মেইজি ১৫ মাসের মাথায় প্রথম শব্দ উচ্চারণ করে 'ডা-ডা'।