স্বামীর মৃত্যু হলেই একদা ভারতে নারীরা জ্বলন্ত চিতাতে ঝাঁপ দিতেন। রাজা রামমোহন রায়দের মতো ক্ষণজন্মাদের কল্যাণে এ দুরাচার ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে বিদায় হয় অনেক আগেই। তবে ইন্দোনেশিয়ানদের পাপুয়ার দানি সম্প্রদায়ের লোকেরা এ ধরনের কুসংস্কার থেকে মুক্ত হতে পারেনি। আনন্দবাজার তাদের এক খবরে জানায়, দানি সম্প্রদায়ের লোকেরা স্বামী মারা গেলেই তার স্ত্রীর আঙুল কেটে ফেলে। স্রেফ শোক প্রকাশের অজুহাতেই দুর্ভাগা নারীদের এ বিসর্জনে বাধ্য করা হয়। তাদের ধারণা, এতে নাকি মৃতের আত্মার শান্তি হয়!
পাপুয়া প্রদেশের প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী, যখনই পরিবারের কর্তা মারা যান, শোক পালনের জন্য স্ত্রীর দু’হাতের বেশ কয়েকটি আঙুল কেটে দেওয়া হয়। আঙুল কাটার আগে মহিলার হাত কষে বেঁধে দেওয়া হয় যাতে হাতে রক্তের প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। তারপর কুড়ুল দিয়ে আঙুল কেটে দেওয়া হয়। যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে এই প্রথা সহ্য করতে হয় সেখানকার মহিলাদের।
দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ঠুর এই প্রথা চলে আসছে দানি সম্প্রদায়ের মধ্যে। ওই দ্বীপে গেলেই আঙুলহীন মহিলাদের দেখা মিলবে। তবে আশার কথা হলো, অবশেষে টনক নড়েছে দেশটির সরকারের। সম্প্রতি এই প্রথার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ মার্চ ২০১৬/শরীফ
