জর্দানের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পাওয়া পেত্রা’য় বালির নিচে বিশাল এক স্তম্ভ আবিষ্কার করেছেন প্রত্মতত্ত্ববিদরা। বিশাল এই স্তম্ভটির দৈর্ঘ্য অলিম্পিকের সাতার কাটার স্থান অলিম্পিক সুইমিং পুলের সমান এবং প্রস্থ এর প্রায় দ্বিগুন।
যুক্তরাষ্ট্রের আমেরিকার স্কুল অব অরিয়েন্টাল রিসার্চের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, স্তম্ভটি খুঁজে পেতে প্রত্মতত্ত্বিকরা উপগ্রহ চিত্র, ড্রোন ফটোগ্রাফি এবং ভূমি জরিপ প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন। প্রাচীন এই ঐতিহ্যবাহী স্থানটি নতুন করে কোনো নিদর্শনের সন্ধান পাওয়া ছিল অসম্ভব।
গবেষণাটি চালিয়েছেন যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সারাহ পারসাক এবং যুক্তরাষ্ট্রের আমেরিকান ওভারসিজ রিসার্চ সেন্টার’র ক্রিস্টোফার টাটল। বিষয়টিকে তারা ‘সরল স্থানের গোপন নিদর্শন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। দুই হাজারেরও বেশি বছরের পুরনো এই নিদর্শনটি।
সারাহ পারসাক এবং ক্রিস্টোফার টাটল বলেন, ‘পেত্রায় প্রায় ২০০ বছর ধরে গবেষণা-কাজ চলছে। মাঝে মাঝেই এখান থেকে নতুন নতুন বিষয় বেরিয়ে আসছে।’
উল্লেখ্য, পেত্রা একটি প্রাচীন আরব শহর। বর্তমান জর্দানের দক্ষিণ-পশ্চিমের গ্রাম ওয়াদি মুসা’র ঠিক পূর্বে হুর পাহাড়ের পাদদেশে এর অবস্থান। ৪০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকে ২০০ খ্রিস্টপূর্ব পর্যন্ত এটি ছিল নাবাতাইন রাজ্যের রাজধানী। পেত্রা নগরীর মূলত একটি অত্যন্ত সুরক্ষিত দুর্গ ছিল।
দূর্গটি তৈরি করা হয়েছিল গুহার মধ্যে, যা কোথাও মাত্র ১২ ফুট চওড়া মাথার ওপরে পাথরের দেয়াল। গুহার পাশেই রয়েছে কঠিন পাথরের দেয়ালের গায়ে খোদিত সেই প্রাচীন দালানগুলো, যার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হল ‘খাজনেত ফিরাউন’ নামের মন্দিরটি। এটি ফারাওদের (ফিরাউন) ধনভাণ্ডার নামেও পরিচিত। ২০০৭ সালে এটি সপ্তাশ্চর্যের তালিকায় স্থান পায়।
বিডি-প্রতিদিন/ ১০ জুন ১৬/ সালাহ উদ্দীন