জ্যাক কনওয়ে ঘাস কাটছিলেন কর্দমাক্ত নরম মাটিতে। হঠাৎ তার চোখে পড়ে বিশাল আকৃতির সাদা একটা বস্তু। অনেকটা নিচু জায়গায়। ছুটে যান সেখানে। মাটি সরিয়ে বের করেন কাঁদা লাগানো সাদা বস্তুটিকে। তখনো তিনি বুঝে উঠতে পারেননি বস্তুটি আসেলে কী। পরে স্থানীয় জাদুঘরে নিয়ে গেলে আসে সমাধান।
আয়ারল্যান্ডের কাউন্টি মিথ এলাকার এমলা বগ জলাভূমিতে খুঁজে পাওয়া টুকরোটি বিশ্লেষণ করে স্থানীয় যাদুঘরের কর্মকর্তারা বলেছেন, এটি অন্তত দু'হাজার বছর পুরনো মাখনের টুকরো। ১০ কেজি ওজনের ওই মাখনের গন্ধ কড়া পনীরের মত।
প্রাগৈতিহাসিক সাদা রংয়ের এই মাখন পাওয়া গেছে মাটির ১২ ফুট (৩.৬ মিটার) নিচে।
যাদুঘর কর্মকর্তা সাভিনা ডনাহিউ বলছেন, ''মাটির এত নিচে মাখনের অংশটা পুঁতে রাখার একটা কারণ হতে পারে যে মাটি ও প্রাণীকুল নিরাপদ রাখার জন্য সেটি কোনো দেবদেবীকে উৎসর্গ করা হয়েছিল।''
মধ্যযুগে আয়ারল্যান্ডের জলাভূমিতে কাদার মধ্যে অনেক কিছু পুঁতে রাখার রেওয়াজ ছিল। সাধারণত মাখন সংরক্ষণ করার কথা কাঠের বাক্সের ভেতরে। কিন্তু এই মাখনের টুকরো পাওয়া গেছে খোলা অবস্থায়।
কাজেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা এটা কোনো ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে উৎসর্গ করা মাখন। যারা ওটা পুঁতেছিল তারা আবার ব্যবহারের আশায় সেটা পোঁতেনি।
মাখন অথবা গবাদি পশুজাত কোনো জিনিসকে সচ্ছ্বলতার প্রতীক হিসাবে দেখা হতো।
'সেসময় মাখন ছিল একটা বিলাস দ্রব্য। মাখন তখন তৈরি করা হতো খাওয়ার জন্য অথবা খাজনা কিংবা ঘরভাড়া দেবার জন্য', বলেন সাভিনা।
তিনি বলেন, ''কড়া গন্ধের এই মাখন হয়ত এখনও খাওয়ার উপযোগী, কিন্তু আমাদের মতে এটা না খাওয়াই ভাল।''
তিনি বলছেন এই মাখন এখন যেহেতু মাটির ওপর আনা হয়েছে, এটি এখন শুকানো হবে। তারপর আর্য়াল্যান্ডের জাতীয় যাদুঘর এটির কার্বন ডেটিং করে এটি জনগণের দেখার জন্য খুলে দেবে।
বিডি-প্রতিদিন/ এস আহমেদ