জাপানের টোকিওর উত্তর প্রান্তে এক রেস্তোরা 'কায়াবুকিয়া ট্যাভার্ন'। এমন আরো অনেক ট্র্যাডিশনাল ‘সাকে হাউস‘ ছড়িয়ে রয়েছে গোটা জাপান জুড়ে। তবে এই রেস্তোরা সবার চেয়ে আলাদা‚ ইউনিক। না‚ অসাধারণ খাবার বা অন্দরশয্যার জন্য নয়। অভিনবত্ব তাদের আপ্যায়ন ব্যবস্থায়। সেখানে খাবার এবং পানীয় সার্ভ করে ইউনিফর্ম পরা বানর।
সেখানে গেলেই একেবারে পেশাদারি কায়দায় অভ্যর্থনা জানিয়ে আপনাকে বানররা বসিয়ে দেবে টেবিলে। এরপর এনে দেবে মেনু কার্ড। আবার পানীয় অর্ডার করার আগে জাপানি রীতি অনুযায়ী দেয়া হয় তোয়ালে। হাত মুছে তবেই পানীয় অর্ডার করবেন অতিথিরা। আর অর্ডার করার সঙ্গে সঙ্গে নিখুঁত পেশাদারি কায়দায় নির্দিষ্ট পানীয়টিও বানররা পৌঁছে দেবে আপনার কাছে।
রেস্তোরার মালিক কাওরু উতসুকা হঠাৎ করেই একদিন আবিষ্কার করেছিলেন বানরগুলোর এই প্রতিভা। বাড়িতে পোষা বানরদের তাকে অনুকরন করতে দেখেছিলেন তিনি। তিনি যখন রেস্তোরায় কাজ করতেন তখন খুব মন দিয়ে তাকে লক্ষ্য করত বানরেরা। পরীক্ষা করার জন্য একদিন এক বানর ইয়াত চ্যান-এর হাতে তুলে দিয়েছিলেন তোয়ালে। আর চ্যান সেদিন নিখুঁত কায়দায় তা পৌঁছে দিয়েছিল কাস্টমারের কাছে। সেই থেকে শুরু‚ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি কাউকে। ক্রমেই দেশে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে তার রেস্তোরার নাম।
জাপানি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী দিনে দু‘ঘন্টা করে শিফটে কাজ করে বানররা। ওদের কল্যানে লাভ যেমন মালিকের‚ তেমনই লাভ গেস্টদেরও।
বিডি প্রতিদিন/১৭ জুন ২০১৬/হিমেল-০৮