লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলার চর ডাউয়াবাড়ি গ্রামে ধুমধামের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে একটি আজব বিয়ের অনুষ্ঠান। আদিকালের কুসংস্কারকে আঁকড়ে ধরে একটি বটগাছের সঙ্গে পাকুড়গাছের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এ বিয়ে দেখতে শত শত মানুষ ভিড় জমায় বিয়ে বাড়িতে।
উপজেলার চর ডাউয়াবাড়ি গ্রামের ধনঞ্জয় রায়ের স্ত্রী রেনুকা বালার (৪৬) বাড়ির উঠানে সোমবার দুপুরে এ বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ে বাড়িতে মিষ্টি বিতরণ ও খাওয়া-দাওয়ার কমতি ছিল না। বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হওয়ায় চলে নাচগান ও বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা।
বিয়ের দিন সকাল থেকেই ওই বাড়িতে শত শত উৎসুক মানুষ বর-কনেকে দেখতে ভিড় জমায়। আধুনিক যুগে এমন আজব বিয়ে দেখতে আসা উৎসুক দর্শকদের খাওয়ানো হয় পান-সুপারি। আর দূর-দূরান্ত থেকে আগতদের খাওয়ানো হয় খেচুড়ি।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার চর ডাউয়াবাড়ি গ্রামের ধনঞ্জয় রায়ের স্ত্রী রেনুকা বালার (৪৪) বাড়ির উঠানে ১ বছর আগে একটি বট এবং তার কিছুদিন আগে একটি পাকুড় গাছের জন্ম হয়। বাড়িতে এক সঙ্গে বট-পাকুড় গাছ জন্ম নিলে তা মঙ্গলের প্রতীক ভেবে রেনুকা বালা গাছ দু'টির পরিচর্যা করতে থাকেন।
রেনুকা বালা সাংবাদিকদের জানান, তিনি নাকি পূর্ব পুরুষের মুখে শুনেছেন এক বাড়িতে বট-পাকুড়ের গাছ জন্মালে তাদের বিয়ে দিতে হয়। তাই তিনি আত্মীয়-স্বজনকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ধুমধামের সঙ্গে বট-পাকুড় গাছের বিয়ে দেন। বিয়ে উপলক্ষে চলে নাচ-গান ও বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। বর হিসেবে পাকুড় গাছকে পরানো হয় নতুন লুঙ্গি-গামছা। আর কনে বট গাছকে পরানো হয় নতুন লাল পেড়ে হলুদ শাড়ি।
চলতি বর্ষাকালে কথিত বর-কনেকে বাড়ি থেকে তুলে অন্য জায়াগায় একই গর্তে পুনঃরোপণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/ ২০ জুন ১৬/ সালাহ উদ্দীন