গত এপ্রিলে মারা যায় শক্তিমান নামের ঘোড়াটি। এটি ছিল পুলিশ বাহিনীর আদরের ঘোড়া। বিজেপি বিধায়কদের এক বিক্ষোভ-সমাবেশ প্রতিরোধ করতে পুলিশবাহিনীর সঙ্গে ছিল শক্তিমান। গণেশ যোশী নামে এক বিধায়কের মারপিটে পা ভাঙে ঘোড়াটির। সবরকম চেষ্টার পর চিকিৎসকরা ব্যর্থ হন। মৃত্যুর পর পূর্ণ পুলিশি মর্যাদায় সমাধিস্থ করা হয় শক্তিমানকে। ঘোড়াটির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে তুমুল সমালোচনার ঝড় ওঠে। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত বিধায়ককে। পরে অবশ্য জামিনে মুক্তি পান তিনি।
স্মৃতি ধরে রাকতে দেরাদুনের রাস্তায় এক ব্যস্ত ক্রসিংয়ে স্থাপন করা হয়েছিল শক্তিমানের মূর্তি। এরপর ওই মূর্তিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক আলোচনা তুঙ্গে ওঠে। বিজেপির দাবি, এই দুর্ঘটনাকে পুঁজি করে আগামী নির্বাচনে ফায়দা তুলতেই মূর্তি তৈরি করেছে কংগ্রেস প্রশাসন। সমালোচকরা বলছেন, যেখানে সেনাদের কৃতিত্ব মনে রাখা হয় না, সেখানে পুলিশবাহিনীর ঘোড়ার মূর্তি তৈরি করার কি মানে থাকতে পারে? একপর্যায়ে মূর্তিটিকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এদিক, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সামনে শক্তিমানের আর একটি স্ট্যাচু বসানো হয়েছে।এ প্রসঙ্গে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত বলেছেন, এই মূর্তি থাকবে কি থাকবে না তা পরবর্তী সরকারই ঠিক করবে। নির্বাচনী কৌশল হিসেবে যে এই মূর্তি তৈরি হয়নি তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/ ১২ জুলাই, ২০১৬/ আফরোজ