গভীর রাতে ফোনটা বাজতেই ধরলেন থানার ডিউটি অফিসার। মাদকাসক্ত নারীর গলা, 'আমি মরতে যাচ্ছি।' গত বুধবার রাতে এমন ফোনে চমকে উঠেছিলেন অফিসার। বলে কী! রাতের রসিকতা নয়তো! সে যাই হোক, কোন ঢিলেমি না দেখিয়ে পুলিশ জিপ নিয়ে ছুটল ফোনে জানানো সেই ঠিকানায়। বন্ধ দরজা! কোন সাড়াশব্দ নেই!
বন্ধ দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই দেখা গেল গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন এক যুবতী। তিনি পেশায় বার ড্যান্সার। প্রাথমিক পরীক্ষায় অভিজ্ঞ পুলিশ অফিসার বুঝলেন সব শেষ। এমন ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বাগুইআটি এলাকায়।
বাগুইআটি থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত একের পর এক পানশালা ঘিরে রোজ যেন ঘটনার ঘনঘটা। কখনো গুলি, কখনো বার ড্যান্সার খুন। এলাকার পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে তা সহজেই অনুমেয়। হাজার চেষ্টাতেও যা নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। পানশালাগুলি ঘিরে যে চক্র গড়ে উঠেছে তা নিয়েও কপালে ভাঁজ বিধাননগর পুলিশ কমিশনারের।
কয়েকদিন আগেই একটি পানশালার মালিককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে নারী পাচারচক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে। জানা গেছে, একাধিক পানশালার মালিক এই ব্যক্তি নাচ-গানে যুক্ত যুবতীদের বাড়তি পয়সার লোভ দেখিয়ে মুম্বই ও দুবাই পাচার করতেন। তাকে জেরা করে অনেক তথ্য মিলেছে। চলছে আরো অভিযান চালানোর উদ্যোগ। তার মধ্যে বার ড্যান্সারের মৃত্যুতে এই চত্বরের অঁন্ধকার জগৎকে যেন আরো রহস্যবৃত করে তুলল।
এখন প্রশ্ন জাগে- কে এই যুবতী? একাই থাকতেন? জানা যায়, এখানকার যাত্রাগাছি এলাকায় আদি বাড়ি তাঁর। এটি কী আত্মহত্যা না খুন সেই সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ দেখেছে, তাঁর দেহে বেশ কিছু আঘাতের চিন্থ। ঘরে খাটের উপরে খাবারের কিছু টুকরো ছড়ানো। পানির বোতল, গ্লাস এবং কিছু জিনিস পুলিশ পরীক্ষার জন্য নিয়ে গেছে।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার