কী ভাবছে শিশুটি অবাক চোখে তাকিয়ে! লিসবনের এই শিশুর পাশে তার আপন জন থাকলেও সে খুবই নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছিল সেই সময়। কারণ সে কী করবে বুঝে উঠতে পারছিল না। যাদের ভরসায় সে গাড়িতে চেপে ঘুরতে বেরিয়েছিল- সেই দাদী আর তার বয়ফ্রেন্ড সব ভুলে নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে ছিলেন গাড়ির সিটে। গাড়ির দরজাটাও ছিল খোলা।
শিশুটি তখন কী করবে বুঝে উঠতে পারছিল না। সে অচৈতন্য দাদীকে ফেলে রেখে গাড়ির খোলা দরজা দিয়ে বেরিয়ে যেতেও পারেনি। একা একা গাড়িতেই বসেছিল অচৈতন্য দাদী আর তার সিটে এলিয়ে পড়া বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে। কী করবে সে! যখন শিশুটি তা বুঝতে পারছিল না- তখনই পুলিশ এসে উদ্ধার করে শিশুটিকে।
জানা যায়, মাস দেড়েক আগে আদালতই শিশুটিকে তার দাদীমা রোন্ডা পাসেকের হেফাজতে দিয়েছিল। কলাম্বিয়ানা কাউন্টি জুভেনাইল কোর্টের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ডেন ওয়াল্টন জানিয়েছেন, দাদী রোন্ডা পাসেক যে মাদকাসক্ত থাকেন। ওই সময় তার হাতে এমন কোন তথ্যপ্রমাণ ছিল না। তেমন কোন অভিযোগও কেউ করেননি। একটি শিশুকে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে ফেলে দেওয়ার দায়ে দাদী রোন্ডা পাসেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর তার বয়ফ্রেন্ড জেমস অ্যাকর্ডকেও গ্রেফতার করা হয়েছে মাদকাসক্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো এবং একটি শিশুকে বিপজ্জনক অবস্থায় ফেলে দেওয়ার দায়ে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
বিডি-প্রতিদিন/এ মজুমদার