শ্বশুরবাড়িতেই ঘরজামাই হিসেবে দিব্যি ছিল লোকটি। আর সেখানেই স্ত্রীকে খুন করে মাটির নীচে পুঁতে রেখেছিলেন তিনি। মেয়ে নিখোঁজ বলেই ধরে নিয়েছিল বাড়ির লোক। শেষ পর্যন্ত তাদের ভুল যখন ভাঙল, ততক্ষণে জামাই পগারপার। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থানার দারুয়া গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মালদহের বাসিন্দা রফিক শেখের সঙ্গে কেরলে কাজ করতে গিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির কয়েকজন যুবকের আলাপ হয়। ২০১৫ সালের শুরুর দিকে তাদের সঙ্গেই কাঁথিতে এসে বসবাস শুরু করে রফিক। বিয়ের ইচ্ছে প্রকাশ করায় বন্ধুরাই সম্বন্ধ করে গত জুলাই মাসে কাঁথির দারুয়ার বাসিন্দা নুরজাহানের সঙ্গে রফিকের বিয়ে দেয়। বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়িতেই ঘরজামাই হয়ে থাকতে শুরু করে রফিক। স্ত্রী নুরজাহানের সঙ্গে তার সম্পর্কও ভাল ছিল বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। গত বছরের ১৫ নভেম্বর সকালে রফিক শ্বশুরবাড়ির লোককে জানায়, স্ত্রীকে খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। শেষ পর্যন্ত থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে নুরজাহানের পরিবার। এর কয়েকদিন পরে রফিকও উধাও হয়ে যায়। নিজের মোবাইল ফোনটিও তিনি বন্ধ করে দেন। তখন থেকে রফিক এবং নুরজাহান যে ঘরে থাকত, সেটি তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে ছিল।
শুক্রবার রফিকের শ্যালক ঘরটি ব্যবহার করার জন্য পরিষ্কার করতে শুরু করেন। তখনই ঘরের ভিতরে একটি জায়গায় নরম মাটিতে তার পা ঢুকে যায়। সন্দেহ হওয়ায় খোড়াখুঁড়ি করতেই দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকাবাসী ভিড় জমায় বাড়ির সামন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। গর্ত খুঁড়ে একটি কঙ্কালের খোঁজ পাওয়া যায়্র।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং নুরজাহানের পরিবারের সন্দেহ, স্ত্রীকে খুন করে ঘরের মধ্যেই মাটিচাপা দিয়ে রেখেছিল রফিক। এর পরেই গা ঢাকা দেন তিনি। কঙ্কাল এবং দেহাবশেষ তুলে নিয়ে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পলাতক রফিকের খোঁজ শুরু করেছে কাঁথি থানার পুলিশ। সূত্র: এবেলা
বিডি-প্রতিদিন/১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/মাহবুব