গত ১৫ বছরে আফ্রিকায় সিংহের সংখ্যা তিন লাখ ৫০ হাজার থেকে ২৫ হাজারে পৌঁছেছে। প্রতি বছর দেশের বাইরে থেকে প্রচুর পশু শিকারী আফ্রিকায় আসে এবং পশু শিকার করে। কর্তৃপক্ষও এতে কোনো বাধা দেয় না কারণ এ থেকে মোটা অংকের রাজস্ব সরকারের কোষাগারে জমা হয়। ফলে সিংহের সংখ্যা কমে যাওয়া কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না।
তবে বিষয়টা একদমই মেনে নিতে নারাজ কেভিন রিচার্ডসন। পেশায় প্রাণিবিদ হলেও তিনি বেশি পরিচিত 'সিংহপ্রেমী' হিসেবে। তার বেশিরভাগ সময়ই কাটে সিংহের সাথে। ২৩ বছর বয়সে জোহান্সবার্গে ১৬০০ একর বিশিষ্ট বিশালায়তনের লায়ন পার্কে কাজ করার সুযোগ পান তিনি। সেখানে তাউ ও নেপোলিয়ন নামে দুটি ছয় মাস বয়সী সিংহ শাবকের দেখাশুনা করতে হতো তাকে। তখন থেকেই সিংহের সাথে অদ্ভুত সখ্য গড়ে ওঠে তার।
এখন ওই সিংহ দুটি ছাড়াও পার্কে অন্যান্য সিংহের দেখাশুনা করতে হয় ৪১ বছর বয়সী রিচার্ডসনকে। তার দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে সিংহের পরিচর্যায়। অনেক সময় সিংহের সাথেই ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। সিংহের বিলুপ্তি রোধে বেশ কয়েকটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছেন রিচার্ডসন।
রিচার্ডসনের আশা এ প্রামাণ্যচিত্রগুলো গণমাধ্যমের মনোযোগ আকর্ষণে এবং জনসচেতনতা তৈরিতে সমর্থ হবে এবং সিংহসহ অন্যান্য বন্য প্রাণীদের বিলুপ্তিরোধ ও সংরক্ষণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। 'সিংহপূজারী' রিচার্ডসন এখন শুধু সিংহ নয়, হায়েনা ও চিতা বাঘ নিয়েও কাজ শুরু করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ফারজানা