পাঁচটি মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগে ১৯৯৮ সালে তৈরি হয়েছিল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন 'আলফা' বা 'আইএসআই'। মহাকাশে বিভিন্ন গবেষণার কাজে সহায়তা করে থাকে এটি। প্রতিদিন ১৫.৭ বার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে আইএসআই। পৃথিবীতে সম্ভব নয়, এমনই কঠিন কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণা এখানে সম্পন্ন হয়। তবে সম্প্রতি একটি মহাকাশে অস্বাভাবিক ভাসমান উজ্জ্বল আলো দেখতে পাওয়া গেছে যা এই গবেষণাগারে আছে। সেখান থেকেই শুরু হয়েছে এক আশ্চর্য বিতর্ক।
স্পেস অবসার্ভার স্ট্রিটক্যাপ ১ থেকে এই ভাসমান কেন্দ্রটির কাছে একটি নীলাভ আলোর গোলাকার বস্তুকে উড়ে যেতে দেখা যায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর। ভিডিও-য় ধরা পড়ে ঘটনাটি। ইউটিউবে এই স্পেস অবসার্ভারটির চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা প্রায় ৪০,০০০। পরে যখন ইউটিউব চ্যানেলে রুটিন মাফিক ভিডিওটি আপলোড করা হয়, দর্শকরা স্বভাবতই কৌতূহল প্রকাশ করেন মহাকাশের ওই উজ্জ্বল বস্তুটি কী জানতে চেয়ে! তবে তার সম্বন্ধে কোন তথ্য দর্শকদের দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, বস্তুটি ক্যামেরায় ধরা পড়ার প্রায় মুহূর্তের মধ্যেই ভিডিওটি শেষ করে দেওয়া হয়েছে।
অনেকে এই বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে, নাসার পক্ষ থেকে ইচ্ছাকৃতভাবেই কাজটি করা হয়েছে কোন তথ্য লুকানোর উদ্দেশে। হতে পারে ওই উজ্জ্বল বস্তুটিই আসলে মানুষের বহু কৌতূহলের কেন্দ্রে থাকা ‘ইউএফও’। ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে যারা দীর্ঘদিন গবেষণা করে আসছেন, তাদের একাংশ মনে করছেন, নাসা চায় না মানব সভ্যতায় এলিয়েনদের অস্তিত্ব প্রকাশ্যে আসুক। দেখুন সেই ভিডিওটি-
বিডি প্রতিদিন/০৪ অক্টোবর ২০১৬/হিমেল