সম্প্রতি টরন্টো মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশিত একটি জার্নালের গবেষণায় বলা হয়েছে, মোটামুটিভাবে ৪টি লক্ষণ দেখে বোঝা যেতে পারে যে, শরীরে বিষ আছে কীনা বা বিষের মাত্রা অত্যধিক বেড়েছে কী না। আসুন, জেনে নেওয়া যাক-
এক. নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ
আপনার পাকস্থলী এবং লিভার যদি টক্সিন-এর সঙ্গে ঠিকমতো কাজ করতে না পারে, তাহলে আপনার মুখের ভিতর দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া জমবে এবং মুখে দুর্গন্ধের কারণ ঘটাবে। নিয়মিত পুদিনা পাতা চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ থেকে সাময়িক মুক্তি দেবে ঠিকই, কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ডাক্তারের দ্বারস্থ হওয়াই যুক্তিযুক্ত।
দুই. বেশি টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করা
শরীরে যদি বিষাক্ত উপাদান বা টক্সিন-এর মাত্রাধিক্য ঘটে তাহলে মানবদেহ তার স্বাভাবিক প্রতিরোধ প্রক্রিয়ায় সেই সমস্ত টক্সিনকে মলের মাধ্যমে শরীরের বাইরে বার করে দেওয়ার চেষ্টা করে। কাজেই যদি দেখেন হঠাৎ করে ঘন ঘন টয়লেট যাওয়ার প্রয়োজন অনুভব করছেন, তাহলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বেশি করে পানি ও জলীয় পদার্থ খান। খাদ্য তালিকায় প্রোবায়োটিক খাবারের পরিমাণ বাড়ান। এতে শরীর সুস্থ থাকবে।
তিন. যে কোন রকম গন্ধে অস্বস্তি বোধ করা
পারফিউম, ধোঁয়া কিংবা কোন কড়া গন্ধে কি আপনি অস্বস্তি বোধ করছেন? মাথা ভার লাগছে গন্ধের চোটে? শরীরে টক্সিনের মাত্রাধিক্যের কারণে এটা হতে পারে। শরীরে বিষাক্ত উপাদান বেড়ে গেলে শ্বাসনালীর পরিধি হ্রাস পায় এবং তা অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। ফলে যে কোন রকম কড়া গন্ধেই অস্বস্তি বোধ হয়। এমনটা ঘটলে অবিলম্বে ডাক্তারের দ্বারস্থ হন।
চার. কিছুতেই ওজন কমাতে না পারা
ডায়েটিং কিংবা এক্সারসাইজ সত্ত্বেও কমছে না ওজন? শরীরে টক্সিনের মাত্রাধিক্যের লক্ষণ হতে পারে এটি। মানবদেহে বিষাক্ত উপাদানের পরিমাণ বেড়ে গেলে হরমোন গ্রন্থিগুলি যথাযথ কাজ করে না, এবং স্বাস্থ্যকর খাবারদাবারও চর্বির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। কাজেই অনেক চেষ্টা করেও যদি না কমে ওজন, ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার