কোন প্রকার প্রাণের ভয় না করে, রীতিমতো জীবনের ঝুকি নিয়ে মানবতার টানে রোগী সেবা করে যাচ্ছেন ভারতের চল্লিশ বছর বয়সি নারী সরবজিৎ কৌ। যদিও এই সময়টায় সীমান্তে রোগী দেখতে যাওয়া নিয়ে রয়েছে নানা প্রতিবন্ধকতা। যে কোন মুহূর্তে ছুটে আসতে পারে পাকিস্তানি সেনার গুলি! তবুও যেন কোন প্রতিবন্ধকতাকেই ধর্তব্যের মধ্যে নেন না তিনি।
জানা যায়, সরবজিৎ কৌর নামের এই মহিলা ডাক্তারের বাড়ি ভারতের অমৃতসরের কাছে এক গ্রামে। গ্রামের নাম নৌসেরা ঢালা। সেখান থেকে প্রতিদিন সকালে সীমান্তের দিকে রওনা দেন সরবজিৎ। সঙ্গে থাকে ওষুধের বাক্স, স্টেথো আর ফার্স্ট এড। সেসব সাথে নিয়েই ১৭ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে এসে পৌঁছেন তিনি। সীমান্ত থেকে মোটামুটি ২০০ মিটার দূরেই শুরু হয় রোগী দেখার পালা! আজ পর্যন্ত তার এই নিয়মের কোন ব্যতিক্তম হয়নি। এমনকি ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের অবনতিতে যখন সীমান্ত এলাকা থেকে মানুষদের নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে যেতে চাইছে সরকার- তখনো নয়!
এ ব্যাপারে সরবজিৎ বলেন, এই সময়েই তাকে সীমান্তের মানুষদের আরো বেশি করে প্রয়োজন। তাই তিনি হাসিমুখে নিজের কাজ করে যান। আগে কাজ করতেন ৬ ঘণ্টা। এখন করেন ১০ ঘণ্টা। তবু কোন অভিযোগ আজ পর্যন্ত তাকে প্রকাশ করতে দেখেননি কেউ! সরবজিৎ জীবনের ঝুকি নিয়েই চালিয়ে যাচ্ছেন তার মহৎ কাজ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার