জেইক নামে একটি শিশুর ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। শিশু বয়সেও গম্ভীর মুখায়বয়বের কারণেই জেইককে নিয়ে আলোচনা শুরু। অনেকে শিশুটিকে নিয়ে প্রথম দিকে হাসি-তামাশায় মেতে ওঠেছিলেন। কিন্তু এবার সেই শিশুটির কারণেই তার গ্রামের অন্য শিশুরা শিক্ষার আলোয় আসার সুযোগ পাচ্ছেন।
জেইকের বাড়ি ঘানার পূর্বাঞ্চলের ছোট্ট একটি গ্রামে। ক্যামেরাম্যান কার্লোস কর্টেস ২০১৫ সালে ঘানায় গিয়েছিলেন সেখানকার স্থানীয় শিল্পী সোলোমান আদুফার ওপর একটি তথ্যচিত্র নির্মাণের জন্য। আদুফা তখন শিশুদের পড়াতেন। সেখানেই ক্যামেরাম্যান জেইকের ছবিটি তোলেন। তাখন জেইকের বয়স মাত্র চার বছর। কার্লোস কর্টেস বলেন, সেসময় আমি জেইকের একটি ছবি তুলি। তার মুখটা তখন খুব চিন্তামগ্ন দেখাচ্ছিলো।
শিল্পী আদুফা ইন্সটাগ্রামে ওই শিশুটির একটি ছবি শেয়ার করেন তারপর থেকে সেটি সোশাল মিডিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করে। ক্যামেরাম্যান কার্লোস কর্টেস বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম কোন সাড়া দেবো না। কিন্তু তখনই আমার একটি আইডিয়া আসে। মনে হলো এক একটি লাইক যদি সাহায্য তহবিলের অর্থে পরিণত হয় তাহলে কেমন হয়।
জেইক যে গ্রামে বসবাস করেন সেখানে বহু পরিবারেরই সামর্থ্য নেই তাদের শিশুদের স্কুলে পাঠানোর। ওখানকার প্রাইমারি স্কুলেও অনেক কিছুরই অভাব। তিনি আশা করছেন, ছবিতে পড়া একেকটি লাইক যাতে অর্থে পরিণত হয় সে ব্যাপারে শিশুটি হয়তো লোকজনকে অনুপ্রাণিত করতে পারবে। ওই অর্থ দিয়ে গ্রামের শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। একদিনেই ওই তহবিলে জমা পড়েছে দুই হাজার ডলার।
বিডি প্রতিদিন/৩১ অক্টোবর, ২০১৬/ফারজানা-০৫