প্রেমিক-প্রেমিকা হলেও কোন এক কারণে তাদের দূরে থাকতে হয়। তবে তাদের ভেতর বিশ্বাসের জায়গাটি বেশ মজবুত ছিল। তাই আটলান্টা সফরে যাওয়া জ্যাকিকে বেশ খোলা মনেই বিশ্বাস করেছিলেন তার প্রেমিক। হোটেলে ঢুকেই সেই বিশ্বাস বজায় রাখতে একটি ছবিও পাঠিয়েছিলেন প্রেমিকা। সেই খোলামেলা ছবি দেখে খুশিতে ভরে ওঠে প্রেমিকের মন। জ্যাকিকে তিনি নগ্ন ছবি পাঠাতে বলেন, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সেই ছবিও আসে। ঝামেলা শুরু হয় তখন থেকেই।
ছবির কোনায় একটি অচেনা সুটকেস লক্ষ্য করেন প্রেমিক। সেটা দেখেনই জ্যাকিকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি কি একাই বেড়াতে গেছ’। জ্যাকি উত্তর দেয় ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। বিশ্বাস না হলে হোটেলে ফোন করে দেখো’। এখানেই সবচেয়ে বড় ভুল করেছিলেন প্রেমিকা জ্যাকি। হোটেল ঘরটি বুকিং করা হয়েছিল তার বসের নামে। আর আটলান্টায় প্রেমিকা একা ছিল না, বসও ছিলেন সঙ্গে।
প্রেমিক হোটেলে ফোন করে দেখেন, ঘর বুক করা হয়েছিল জ্যাকির বস টমের নামে। আর সেই সঙ্গে পর্দা ফাঁস হয়ে যায় এক উত্তরেই। শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, দ্বিতীয় বার যে ছবিটি জ্যাকি পাঠিয়েছিলেন, সেটির কোনায় একটি কালো রঙের সুটকেসও দেখা যাচ্ছে। তার প্রেমিক মনে করিয়ে দেন, যে সেটি তার সুটকেস নয়। যদি জ্যাকি একাই গিয়ে থাকে, তাহলে সুটকেস এল কিভাবে। অর্থাৎ সে একা নেই, সঙ্গে আছে অবৈধ প্রণয়ী তার ‘বস’। এই কথার্বার্তার সমস্তটাই ছবি তুলে সোসাল সাইটে শেয়ার করে দেন প্রেমিক। আর তারপরেই ভাইরাল হয়ে যায় সম্পর্কে জালিয়াতির উদাহরণ।
বিডি-প্রতিদিন/১৮ নভেম্বর, ২০১৬/তাফসীর-৯