সরকারি হাসপাতালে চিকিত্সকের অনুপস্থিতিতেই সন্তানের জন্ম দেন এক নারী। উপস্থিত কর্মী জানান, 'মৃত' সন্তান প্রসব করেছেন ওই নারী। পরে কবর দিতে গিয়ে শিশুসন্তান কেঁদে উঠলে টনক নড়ে পরিবার ও হাসপাতালের।
ভারতের রাজস্থানের বুন্দি জেলার এই ঘটনা ঘটতেই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বুন্দি জেলার সরকারির হাসপাতালে চিকিত্সক ছিল না। সেই সময়ই কন্যাসন্তান প্রসব করেন এক নারী।
প্রসবকালীন উপস্থিত কর্মী জানায়, তিনি মৃত সন্তান প্রসব করেছেন। তার কথা শুনে কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করে নারী পরিবার। কিন্তু কবর দেওয়ার কয়েক মিনিট আগেই মৃত সদ্যোজাত নড়েচড়ে ওঠে। কান্না শুরু করলে পরিবারের লোকজনের ভুল ভাঙে। তারা শিশুকে সঙ্গে নিয়ে ফের হাসপাতালে আসেন এবং প্রসবকালীন উপস্থিত সেই কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে যদিও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবী, শিশুটি সময়ের আগেই জন্মগ্রহণ করেছিল। জন্মের সময় কোনও রকম নড়াচড়াও করেনি। তাই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।
অন্যদিকে এই ঘটনায় পরিবারকেই দোষী সাব্যস্থ করার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে গেলেও, শিশুটিকে দেখভাল করার চেষ্টা করেনি কেউ। অভিযুক্তকে আগলে রেখে হাসপাতাল কর্তপক্ষের দাবী করেছে, শিশুটি জন্ম থেকেই রুগ্ণ। বেঁচে থাকার কোনও আশা নেই। উপরন্তু শিশুটির প্রাণ বাঁচানোরও চেষ্টা করেনি কেউ।
অন্যদিকে হাসপাতালের ডেপুটি কন্ট্রোলার দাবী করেছেন, কন্যা সন্তান হওয়াতেই পরিবারের লোকজন খুশি ছিলেন না। তাই জীবিত অবস্থাতেই পুঁতে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তারা।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৪ এপ্রিল, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-৪