৯ বছরের দাম্পত্য জীবন তাদের। তবে এই যুগলের বিশ্বাস অদ্ভুত এক দর্শনে। তারা মনে করেন, জীবনে বেঁচে থাকার জন্য খাওয়া প্রয়োজনীয় হলেও সেটি অপরিহার্য নয়। আকাহি রিকার্ডো এবং ক্যামিলা ক্যাসেলোর মতে জাগতিক শক্তির বলেই মানুষ বেশ ভালোভাবেই বেঁচে থাকতে পারে। আর তারা বাস্তবে তাদের কথার সত্যতা প্রমান করেও দেখাচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইকুয়েডর। এই দুই দেশেরই নাগরিক এই দম্পতি। তাদের সঙ্গে রয়েছে পাঁচ বছরের পুত্র আর দুই বছরের কন্যা। আকাহিদের দাবি, ২০০৮ সাল থেকে সপ্তাহে তিন বার করে এক টুকরো ফল বা শুধুমাত্র শাকসব্জি খেয়েই চলে যায় তাদের। শুধু তাই নয় গর্ভাবস্থায় ক্যামিলা ব্রেথারিয়ান পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন। অর্থাৎ প্রায় কোনও খাবার ছাড়াই নাকি গর্ভকাল কাটিয়েছেন ক্যামিলা।
আকাহি এবং ক্যামিলার মতে তাদের এই ‘ফুড ফ্রি লাইফস্টাইল’ তাদের শরীরকে ষথেষ্ট ভাল রাখে। আর যে টাকাটা তাদের খাওয়াদাওয়ায় লাগত সেই টাকা দিয়ে অনায়াসে তারা অন্য প্রয়োজন মিটিয়ে ফেলতে পারেন। ৩৪ বছরের ক্যামিলা বলছেন, "যতক্ষণ মানুষের শরীরে জাগতিক শক্তি চলাফেরা করছে, ততক্ষণ তাদের খাওয়া দাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।" এদিকে ক্যামিলার স্বামী আকাহির দাবি, "ব্রেথারিয়ান পদ্ধতির জন্য ক্যামিলার প্রথম সন্তানের জন্ম দিতে কোনও অসুবিধা হয়নি। আর মানুষের খাওয়ার খরচ কম করার জন্য ব্রেথারিয়ান পদ্ধতির বিকল্প কিছু হয়নি।"
২০০৫ সালে এই যুগলের প্রথম দেখা হয়। ২০০৮ সালে বিয়ে হয় তাদের। এক বন্ধুর থেকেই ব্রেথারিয়ান পদ্ধতির খুঁটিনাটি জানতে পারেন তারা। তারপর ধীরে ধীরে এই ২১ দিনের ব্রেথারিয়ান পদ্ধতির মধ্যে ঢুকে পড়েন আকাহি এবং ক্যামিলা। পরের তিন বছরে তারা কোনও ভারী খাবার খাননি। এমনকী ২০১১ সালে ক্যামিলার প্রথম সন্তানের জন্মের সময়ও না। বড় কোনও অনুষ্ঠান হলে তবেই ভারী খাবারে হাত দেন আকাহি এবং ক্যামিলা। তবে তাদের সন্তানরাও এই নিয়মে চলুন, তা চান না ক্যামিলারা।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৭ জুন, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১৯