গাজীপুরের শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কের গয়াল নতুন দুটি বাচ্চা জন্ম নিয়েছে। এনিয়ে এই পার্কে চতুর্থবারের মতো গয়ালের বাচ্চা জন্ম নিলো। পূর্বে পার্কের গয়াল পরিবারে ৪টি পুরুষ ও ৩টি মাদি গয়াল ছিলো।
চলতি বছরের ২১ মে ও ২০ জুনে নতুন দুটি বাচ্চা প্রসব করে। এনিয়ে এ পার্কে এ পরিবারের সদস্য সংখ্যা হলো ৯টিতে।
পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার মো. সরোয়ার হোসেন খান বলেন, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫সাল পর্যন্ত তিন দফায় বিভিন্ন সময়ে এ পার্কে পূর্ণবয়স্ক ৭টি গয়াল আনা হয়। তাদের মধ্যে তিনটি গয়াল বিভিন্ন সময়ে রোগে ভুগে মারা গিয়েছিল। পরে দুইটি মাদী গয়াল থেকে বিভিন্ন সময়ে ৫টি বাচ্চা পাওয়া যায়। গয়াল বনগরুর সাথে গৃহপালিত গরুর ক্রসে গয়াল উৎপন্ন হয়। গয়াল আরেকটি নাম হলো মিথুন। বাচ্চার রং লালচে বর্ণের হলেও প্রাপ্ত বয়স্ক গয়ালের রং কালো হয়। এছাড়াও গৃহপালিত গাভীর রংয়ের সাথে ক্রসের সময় রংয়ের পরিবর্তন হয়ে থাকে। প্রতিটি বাচ্চার ওজন হয় সাধারণত ২০ কেজির মত। প্রতিবার এরা সাধারণত একটি করে বাচ্চা প্রসব করে থাকে। আট মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত এরা মায়ের সঙ্গে থাকে ও দুধ পান করে।
গয়াল মূলত ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, ভূটান, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়াসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। তাছাড়া বান্দরবনের নাইক্ষ্যাংছড়িতে গয়ালের ব্রিডিং ফার্ম রয়েছে তাছাড়া অনেক উপজাতি গয়াল পোষে, তাছাড়া গয়ালের গোশত ও দুধের জন্য অনেক উপজাতি গয়ালের খামার তৈরী করে। গয়ালের গর্ভকালীন সময় ২৭৫দিন, এরা প্রাকৃতিক পরিবেশে ত্রিশ বছর পর্যন্ত বাঁচে। এরা তৃণভূমিতে চলাফেরা করে থাকে, গমের ভূমি, গাজর ও মিষ্টি কুমড়া দেয়া হয়। পুরুষ ও মাদি বাচ্চারা দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে প্রজননক্ষম হয়। তিনি আরো বলেন, প্রসবের কয়েক মিনিট পর বাচ্চা ওঠে দাঁড়ায় এবং দৌঁড়াতে শুরু করে। বাচ্চারা এখন কোর সাফারীর হরিণ সাফারিতে মায়েদের সঙ্গে সঙ্গে খেলা করে বেড়াচ্ছে, দৌঁড়াচ্ছে এবং সুস্থ রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার