কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনা পুরো শহরকে নাড়া দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতালের চিকিৎসকরা ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন এবং বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত চিকিৎসক উত্তর চব্বিশ পরগনার সোদপুরের বাসিন্দা ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি জরুরি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন এবং ভোররাতে তার মরদেহ হাসপাতালের একটি কক্ষে পাওয়া যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথমে এটিকে আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও সহকর্মীরা তা প্রত্যাখ্যান করে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ তোলেন।
এই ঘটনা দ্রুত রাজ্যব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে। বিজেপি নেতা ও স্থানীয় কাউন্সিলররা হাসপাতালে গিয়ে প্রতিবাদ জানান এবং মরদেহ আটকে রাখেন। পরে, রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব এবং পুলিশ কমিশনারের আশ্বাসে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে চিকিৎসকের শরীরে আঘাতের চিহ্ন, শ্বাসরোধের আলামত এবং রক্তক্ষরণের প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা ধর্ষণ ও হত্যার সন্দেহকে আরও জোরালো করেছে। পুলিশ ইতিমধ্যে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে এবং একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল