গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের খানাবাড়ি কদমতলা গ্রামে গতকাল শনিবার রাত ১২টার দিকে গত বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি বামনডাঙ্গায় জামায়াত-শিবিরের হামলায় ৪ পুলিশ নিহতের মামলার আসামী ধরতে গেলে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা গ্রামবাসীর সহায়তায় পুলিশকে অবরুদ্ধ করে ফেলে। পরে যৌথবাহিনী এলাকায় প্রবেশ করে অভিযান চালায়। এসময় জামায়াত-শিবির কর্মীদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে ২২ পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ব্যাপক সংখ্যক রাবার বুলেট, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে কমপক্ষে ২০ জামায়াত-শিবির কর্মী গুলিবদ্ধি হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে গুরুতর আহত গুলিবদ্ধি অন্তত ৭ জনকে রংপুরে চিকিতৎসার জন্য নেয়া হয়েছে বলে গ্রামবাসী জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৩টা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে পুলিশবহনকারী একটি ভ্যান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। তবে পুলিশ জানিয়েছে ভ্যানটি তাদের নয়। সকাল ৮টার পর সংঘর্ষ থেমে গেলেও পুলিশ ও যৌথবাহিনী গ্রামটিকে ঘিরে রেখেছে।
গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন জানান, এ পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।