নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে পাবনার সুজানগর, ভোলার লালমোহন ও ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় নির্বাচন বয়কট করেছেন বিএনপি সমর্থীতি তিন প্রার্থী।
এরা হলেন- পবনার সুজানগর উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হাজারী জাকির হোসেন চুন্নু, ভোলার লালমোহন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আকতারুজ্জামান টিটো এবং ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপির প্রার্থী রাকিবুল হাসান দিপু।
বুধবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে পাবনার সুজানগর উপজেলায় নির্বাচন বয়কট করে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেছেন হাজারী জাকির হোসেন চুন্নু।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জাকির হোসেন বলেন, বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আবুল কাশেমের সমর্থিতরা আমার নির্বাচনী এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেয় এবং তারা জাল ভোট প্রদানসহ বিভিন্ন অনিয়ম করে। এ কারণে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।
এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেও তিনি অভিযোগ করেন। এসময় তিনি বৃহস্পতিবার পুরো উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেন।
এদিকে, ভোলার লালমোহন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আকতারুজ্জামান টিটো নির্বাচন বয়কট করেছেন।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লালমোহন পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি সরকার দলীয় সমর্থকদের বিরুদ্ধে তার ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা, এজেন্টদের মারধর ও জাল ভোট প্রদানের অভিযোগ তুলে ধরেন।
এছাড়া ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপির প্রার্থী রাকিবুল হাসান দিপু নির্বাচন বয়কট করেছেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি নির্বাচন বয়কটের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
রাকিবুল হাসান দিপু বলেন, সরকার দলীয় সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রে হামলা চালিয়ে তার ভোটারদের ভোট প্রদানে বাধা ও মারধর করায় নির্বাচন বয়কট করা হয়েছে।