কম্বোডিয়ার সঙ্গে ৩টি চুক্তি ও একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ। এর ফলে দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, বিনিয়োগ, কারিগরি সহায়তা এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বাড়বে।
আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ সফররত কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী সামদেক আক্কা মহা সেনা পাদেই টেকো হুন সেন এর উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী ৩ দিন ব্যাপী বাংলাদেশ সফরের দ্বিতীয় দিনে এসব চুক্তি সই হলো।
যে ৩টি বিষয়ে চুক্তি সই হয়েছে তার মধ্যে আছে-
দুই দেশের মধ্যে পারষ্পরিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও সুরক্ষা চুক্তি। এতে বাংলাদেশের পক্ষে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবং কম্বোডিয়ার পক্ষে কম্বোডিয়ান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিষয়ক মন্ত্রী ও কম্বোডিয়ান কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল চেন্দা সফেয়া সই করেন।
উভয় দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সহযোগিতার একটি চুক্তি সই হয়েছে। এতে বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং কম্বোডিয়ার সংস্কৃতি ও চারুকলা বিষয়ক মন্ত্রী মিসেস ফুইউরং সাকোনা স্বাক্ষর করেন।
এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে পারষ্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি যৌথ কমিশন গঠনের বিষয়ে একমত হয়েছে দেশ দুটি।
এতে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং কম্বোডিয়ার পক্ষে ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী হর নামহং সই করেন।
এ ৩টি চুক্তি ছাড়াও কৃষি ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি সহযোগিতার জন্য একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়া।
এতে বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরি এবং কম্বোডিয়ার কৃষি, বন ও মৎস্য মন্ত্রী মি. রাবুন সই করেন।
এর আগে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক হয়।
বৈঠকের বিষয়ে পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী ও পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক ব্রিফ করেন।
তারা জানান, বৈঠকে দু’দেশের আর্তসামাজিক উন্নয়ন, কৃষিতে সহযোগিতা ও পারষ্পরিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির সঙ্গে উভয়ের মধ্যকার সর্ম্পক আরো জোরালো করার বিষয়ে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে বানিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা উঠে আসে।
দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী সব ক্ষেত্রে উভয় দেশের সর্ম্পক আরো জোরদার করার কথা বলেন।
বাংলাদেশ আশিয়ানের ডায়ালগ পার্টনার হতে চায়। এ বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন।