জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ বলেছেন, 'এদেশে কালো টাকা বলে কোনো টাকা নেই। যে টাকাকে কালো টাকা বলা হয় তা বিদেশে পাচার করে সাদা করা হয়। তাই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যে ব্যক্তি যেভাবেই টাকা আয় করুক তাদের বিনিয়োগের সুযোগ দিতে হবে।'
আজ রবিবার দশম জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় সংসদে সভাপত্বি করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, 'সরকারি ভুল নীতি ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। গত দুই দিন দেশের সমস্ত পত্রিকায় যে খবর বেরিয়েছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। গণমাধ্যমে বলা হয়েছে দুর্নীতির টাকা সুইচ ব্যাংকে চলে যাচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে টাকা পাচার হচ্ছে। মালোয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমের নামে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। কানাডা, যক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য হংকং, সিঙ্গাপুর পাচার হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। এটা অত্যন্ত লজ্জজনক।'
তিনি বলেন, 'এই দেশে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যটন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হলে এই খাত থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হবে। আমরা যদি পুঁজি এখানে খাটাতে চাই আমাদের সেক্টরের অভাব হবে না। অর্থমন্ত্রীকে বলবো বিনিয়োগকারীদের ৫ বছর ট্যাক্স ফ্রি করে দিন, সমস্ত টাকা বিনিয়োগ করুক। বিনিয়োগের সুযোগ দিলে টাকা বিদেশে পাচার হবে না।'