জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় ৫ সে.মি কমলেও এখনো বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
যমুনার পানি ছড়িয়ে পড়ায় ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাইসহ শাখা নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, সরিষাবাড়ি, বকশিগঞ্জ, মাদারগঞ্জ ছাড়াও মেলান্দহ ও জামালপুর সদর উপজেলার বেশকিছু নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সদর উপজেলার কেন্দুয়া ও মেস্টা ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম বন্যাপ্লাবিত হয়েছে। টানা ৬ দিনের বন্যায় পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। শুকনো খাবার, গো-খাদ্য ও পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
জেলায় আরও ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এনিয়ে বন্যার পানি উঠায় জেলার ১০১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলো।
জেলার দেড় লক্ষাধিক পানিবন্দি মানুষের জন্য এ পর্যন্ত মাত্র ২৪ মে.টন চাল ও ৫ লাখ টাকার শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে দুর্গত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত রোগ।
জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা: হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, জেলায় বন্যাদুর্গত এলাকায় ৭৭টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।