গ্যাসের দাম বাড়ানো প্রয়োজন নেই বলে মতামত দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। আজ রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক গণশুনানিতে এ মত দেয় কমিটি।
এর আগে তিতাস গ্যাস সঞ্চালন ও বিতরণ কোম্পানি গ্যাসের খুচরা মূল্য গ্রাহকভেদে ৫ থেকে ১২২ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়ানোর আবেদন করে। প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের সম্পদমূল্য ২৫ টাকা ধরে মূল্যবৃদ্ধির এ আবেদন করা হয়। বাংলাদেশে এর আগে গ্যাসের কোনো সম্পদমূল্য নির্ধারিত ছিল না।
অাজ সকাল সাড়ে ১০ টায় শুরু হওয়া গণশুনানিতে সভাপতিত্ব করছেন কমিশনের চেয়ারম্যান এ আর খান। উপস্থিত ছিলেন কমিশন সদস্য ড. সেলিম মহামুদ, প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন, রহমান মোরশেদ, মো. মাকসুদুল হক। কমিশনের কাছে তিতাসের পক্ষে আবেদনটি উত্থাপন করেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নওশাদ ইসলাম। কারিগরি কমিটির পক্ষে মূল্যায়ন প্রতিবেদন উত্থাপন করেন কমিটির আহ্বায়ক ও বিইআরসির পরিচালক (গ্যাস) এ কে এম মনোয়ার হোসেন আখন্দ।
তিতাসের আবেদনের পর গ্রাহক প্রতিনিধি হিসেবে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম সামছুল আলম, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রহিম হোসেন প্রিন্স, সিএনজি অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা জাকির হোসেন নয়নসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা শুনানিতে অংশ নেন।
গণশুনানিতে অধ্যাপক সামসুল আলম বলেন, ‘তিতাস যে আবেদন করেছে তা অসঙ্গতিপূর্ণ। আবেদনে আয়-ব্যয়ের প্রকৃত তথ্য সঠিকভাবে উত্থাপন করা হয়নি। এই আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।’ অধ্যাপক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘খুচরা পর্যায়ে গ্যাসের সঠিক মূল্য নির্ধারণের জন্য গ্যাসের একটি সঠিক পাইকারি মূল্য নির্ধারণ করা জরুরী।’ জাকির হোসেন নয়ন বলেন, ‘সিএনজির দাম বাড়লে পণ্যপরিবহসহ গণপরিবহনে অরাজকতা সৃষ্টি হবে।’
বিডি-প্রতিদিন/৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫/শরীফ