ধূমপানজনিত কারণে বাংলাদেশের ২৩ শতাংশ রোগী মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। গত বছরের জানুয়ারি মাসে ক্যান্সার হাসপাতালে আসা ২২ হাজার ২১৫ জন রোগীর ওপর চালানো পরীক্ষায় দেখা গেছে, ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত চার হাজার ৪৪ জন এবং স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত দুই হাজার ৪৯৭ জন।
ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্তদের বেশিরভাগই পুরুষ। অন্যদিকে অশিক্ষিতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নয় হাজার ১৪৭ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। আর স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের মধ্যে আক্রান্তের হার কম, ৯৬৩ জন। মঙ্গলবার জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. মোয়াররফ হোসেন এমন তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে প্রায় ১৪ লাখের মতো ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষ রয়েছে। প্রতি বছর প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজারের মতো মানুষ ক্যান্সার আক্রান্ত হচ্ছে। যাদের মধ্যে প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার মানুষ মারা যায়। এর কারণ প্রায় ৮০ শতাংশ রোগীই এডভান্স স্টেজে চিকিৎসা নিতে আসেন।’
নারীদের ক্ষেত্রে ক্রমানুসারে স্তন, সার্ভিক্স, ফুসফুস, লসিকা গ্রন্থি, ইসোফেগাস, পাকস্থলী, গলব্লাডার, লিভার, রেক্টাম ও ওভারি (ডিম্বাশয়) এই ১০টি অঙ্গ ক্যান্সার আক্রান্তের শীর্ষে। ডা. মোয়াররফ বলেন, কিছু কুসংস্কার, ট্রেডিশনাল চিকিৎসা ও মানুষের দারিদ্র্যতা এই রোগে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়াচ্ছে। ক্যান্সারের চিকিৎসা এক দিনের চিকিৎসা নয়। অনেক সময় আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় থাকতে দেয় না। তারা মনে করে ক্যান্সার ছোয়াচে রোগ। হোটেলে টের পেলে থাকতে দেয় না, খেতে দেয় না। একটা মানুষ ক্যান্সারের কথা শুনে অর্ধমৃত হয়ে যায়। আমাদের আরও সহনশীল হতে হবে। প্রত্যেক নাগরিকের চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার আছে। তিনি আরও বলেন, ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৪, ফেব্রুয়ারি, ২০১৫/ রোকেয়া।