সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনের কথা বলে ভারত সীমান্তের ত্রিপুরা আর মিজোরাম সংলগ্ন এলাকায় বাংলাদেশ অন্তত ৪০টি নতুন সীমানা চৌকি স্থাপন করতে যাাচ্ছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার ভারতের সঙ্গে সম্মত হয়েছে। খবর এনডিটিভির
ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী বিএসএফ'র এক কর্মকর্তার বরাতে গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রস্তাবিত এসব সীমানা চৌকি থেকে সশস্ত্র সংগঠনগুলোর কর্মকাণ্ড এবং মানব পাচারকারীদের উপর নজর রাখা হবে। বিজিবির বরাত দিয়ে ভোলা নাথ শর্মা নামে বিএসএফ'র ওই কর্মকর্তা এনডিটিভিকে বলেন, 'ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে প্রস্তাবিত অন্তত ৪০টি নতুন সীমানা চৌকি নির্মাণের ব্যাপারে বিজিবি কর্তৃপক্ষ আমাদের অবহিত করেছেন।'
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রস্তাবিত সীমানা চৌকি গঠন করা হলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে সন্ত্রাসবাদের ঘটনা কমবে বলে আশা প্রকাশ তিনি। ত্রিপুরার সশস্ত্র দলগুলোসহ ভারতের অনেক বিদ্রোহী গ্রুপের বেশিরভাগ ঘাঁটি বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় বলে দাবি করেন ভোলা নাথ।
গত ৮-১১ই জুন শিলংয়ের মেঘালয়ে বিজিবি এবং বিএসএফ কর্মকর্তাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারসহ অন্যান্য ক্রস বর্ডার সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ভোলা নাথ। ওই বৈঠকে তিনি উপস্থিত ছিলেন। ভোলা নাথ বলেন, বাংলাদেশের এলাকায় যেহেতু রাস্তা কম এবং খুবই ভঙ্গুর সেক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় চৌকি স্থাপনের ক্ষেত্রে ভারতীয় রাস্তা ব্যবহার করতে দেয়ার অনুরোধ জানান বিজিবি কর্মকর্তারা। আর সে অনুরোধের প্রেক্ষিতে বিএসএফ কর্মকর্তারা পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে, বুধবার ত্রিপুরার চারটি সীমান্ত জেলার ম্যাজিস্ট্রেট এবং বাংলাদেশের চারটি সীমান্ত জেলার ডেপুটি কমিশনাররা চট্টগ্রামে মিলিত হওয়ার । ওই বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ ইস্যু ছাড়াও সীমান্ত অপরাধ, সীমান্ত ঘেরাও এবং উন্নত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ জুন ২০১৫/শরীফ