রংপুরের তারাগঞ্জে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে জামাই-শ্বশুর হত্যার ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোররাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, তারাগঞ্জের চরকাডাঙ্গা বালাপুর এলাকার আলেফ উদ্দিনের ছেলে মো. আখতারুল ইসলাম (৪৫), খান সাহেব পাড়া এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (২৬), বুড়িরহাট ডাঙ্গাপাড়া এলাকার জাফর আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০), সয়ারবালাপুর এলাকার আজিজুল ইসলামের ছেলে ইবাদত আলী (৩৫)।
জানা যায়, উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বুড়িহাট এলাকায় শনিবার রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে চোর সন্দেহে রূপলাল (৪০) ও প্রদীপ (৩৫) গণপিটুনিতে নিহত হন। রুপলাল ঘটনাস্থলে এবং গুরুতর আহত হয়ে তার ভাগ্নি জামাই প্রদীপ রংপুর মেডিকেল কলেজে রবিবার সকালে মারা যান। নিহত রূপলাল উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর ডাঙাপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন। পেশায় তিনি ছিলেন একজন মুচি। দীর্ঘদিন ধরে তারাগঞ্জ বাজারে জুতা সেলাইয়ের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। রংপুর মেডিকেল কলেজে নিহত প্রদীপ তার ভাগ্নি জামাই। তাঁর বাড়ি মিঠাপুকুর উপজেলার গোপালপুর ছড়ান গ্রামে। এই ঘটনায় নিহত রুপলালের স্ত্রী মালতি বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৫ থেকে ৭’শ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
তারাগঞ্জ থানার ওসি এম.এ. ফারুক জানান, গণপিটুনিতে দুইজন নিহতের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ