এমবিবিএস বা বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে সংসদে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। জাতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশনের আজ সোমবারের বৈঠকে ঢাকা-৫ আসনের হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ একথা জানান। বিকেল চারটা ৪০মিনিটের দিকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
মন্ত্রী জানান, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্তের জন্য মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক অতিরিক্ত মহা-পরিচালক (পরিকল্পনা), স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটি কাফরুল থানা হতে আলামত হিসেবে জব্দকৃত ৩৬ সেট প্রশ্নপত্রের সহিত ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার মূল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে প্রতিটি প্রশ্ন পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে যাচাই করেন। কিন্তু জব্দকৃত ৩৬ সেট প্রশ্নের সঙ্গে মূল প্রশ্নের কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে সংসদকে জানান মন্ত্রী।
নুরন্নবী চৌধুরীর (ভোলা-৩) এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে সরকারি বিভিন্ন বিভাগের জন্য বিশেষায়িত চিকিৎসকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। বর্তমানে দেশে বিদ্যমান সরকারি বিভিন্ন বিভাগের জন্য বিশেষায়িত (স্পেশালাইজড) ডাক্তারের সংখ্যা ৬ হাজার ৮৩৭টি। এই সংখ্যা দেশের চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট নয়। এজন্য বিশেষায়িত চিকিৎসক তৈরির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে ১৩টি নতুন মেডিকেল কলেজ স্থাপন করেছেন বলে আরো জানান তিনি।
বিশেষায়িত চিকিৎসক তৈরির প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য শিক্ষায় স্নাতকোত্তর পর্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতিত দেশে অন্য কোন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সৃজনে চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা সুবিধা প্রদান করা যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি করে দেশেই সাধারণ মানুষকে উন্নততর চিকিৎসা সেবা প্রদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে পর্যায়ক্রমে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ মার্চ ২০১৪ তারিখে প্রধানমন্ত্রীরর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিল’ এর সভায় চট্টগ্রাম ও রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গ্রহীত হয়।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বীকার করেন যে, হাসপাতালগুলোতে আগের চেয়ে পরিচ্ছন্নতা বেশি বাড়লেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এখনও সমস্যা রয়ে গেছে। এক্ষেত্রে তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে এমপিদের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৯ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা