আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে আনা হয়েছে। দুপুরের আগে তাকে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হতে পারে। এ কারণে সকাল থেকেই আদালতপাড়ায় আসতে শুরু করেছেন হত্যাকাণ্ডের শিকার সাতজনের স্বজনরা। এ সময় তারা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
নূর হোসেনকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করায় নিহতদের একাধিক স্বজন মিডিয়ার কাছে তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেন। একইসঙ্গে বিচারে প্রকৃত খুনি, তাদের সহযোগি ও পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রতিক্রিয়ায় নিহত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বলেন, তারা এখনও নিজেদের নিরাপদ ভাবতে পারছেন না। নূর হোসেনকে দেশে ফেরত আনার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত, পরিকল্পনাকারী কারা তা বের করা হোক।
একই দাবি জানিয়ে নিহত মনিরুজ্জামান স্বপনের ভাই মিজানুর রহমান রিপন বলেন, নূর হোসেন সাতটি পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচারে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি। আর যেন কোন নূর হোসেনের জন্ম না হয় সে জন্যও সরকারের কাছে সাত হত্যাকাণ্ডের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেন।
এর আগে শুক্রবার সকালে ঢাকার উত্তরার র্যাব-১ কার্যালয় থেকে নূর হোসেনকে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ লাইন্সে আনা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভারত থেকে হস্তান্তরের পর, বেনাপোল সীমান্ত থেকে কঠোর নিরাপত্তায় নূর হোসেনকে সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে ঢাকার উত্তরার র্যাব-১ কার্যালয়ে আনা হয়। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও হস্তান্তরের সকল প্রক্রিয়া শেষ করে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্টের জিরো পয়েন্ট দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা নূর হোসেনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে।
বিডি-প্রতিদিন/১৩ নভেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ