ইউনিয়ন করার অধিকার দিয়ে ইপিজেড শ্রম আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। নতুন আইনে দর কষাকষির অধিকার এবং স্থায়ী মজুরি বোর্ড পেতে যাচ্ছেন রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার শ্রমিকরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই আইনের খসড়া অনুমোদন পায়।
বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, শ্রম আইন ইপিজেডের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, তাই নতুন এ আইন করা হচ্ছে।
২০১৪ সালের ৭ জুলাই ইপিজেড শ্রম আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। তাতে বলা হয়েছিল, সমিতি করতে চাইলে কোনো প্রতিষ্ঠানের ৩০ ভাগ শ্রমিককে ইপিজেড কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারীদের মধ্যে ভোটের ব্যবস্থা করা হবে এবং তাদের মধ্যে ৫০ ভাগ সমিতি করার পক্ষে ভোট দিলে সমিতি অনুমোদন পাবে।
খসড়া এ আইনের ১৬ অধ্যায়ে ২০২টি ধারা রয়েছে জানিয়ে শফিউল বলেন, আইন অনুযায়ী শ্রমিকরা অবসর সুবিধা, মৃত্যু ও দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ, বাধ্যতামূলক গ্রুপ ইন্সুরেন্স, ভবিষ্য তহবিল, অর্জিত ছুটির নগদায়ণ, পূর্ণ বেতনের সমান হারে বছরে দুটি উৎসব বোনাস এবং ১৬ সপ্তাহের প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা পাবেন।
“ইপিজেডে সংগঠন করার অধিকার আগে ছিল না। দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এটা আইনে পরিণত হলো।''
বিডি-প্রতিদিন/১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ