নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গণপিটুনিতে সন্দেভাজন ৪ ডাকাতের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় পুলিশের ৩ কনস্টেবল ও ২ ডাকাতসহ আরও ৫ জন আহত হয়।
শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার বয়ারচরের চেয়ারম্যানঘাট রিজার্ভ পুলিশ ক্যাম্পে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর আগে রাত ১২টার দিকে ডাকাতদের আটক করে বিক্ষুব্ধ জনতা।
এ ব্যপারে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে পালানোর চেষ্টা, অস্ত্র উদ্ধার ও হত্যা ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে জানান নোয়াখালী সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নবজ্যোতি খিসা।
নিহত ও আহত ডাকতদের ৫ জনের পরিচয় জনা গেছে। তারা হলেন জয়পুরহাট সদর উপজেলার বিশ্বাস পাড়া গ্রামের আবু বকর সিদ্দিক (২২), গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাঠবাড়ি গ্রামের সাইফুল ইসলাম সুজন (২২), চাপাইনবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আকবর আলী (২৪), সুমন (২২) ও দিনাজপুরের চিরির বন্দর থানার বড়ব গ্রামের আরিফুর রহমান (২২)।
আহত পুলিশ কনস্টেবল কামরুল হাসান ও দুই ডাকাতকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের অপর দুই কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলম ও ফজলুল হককে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পাশাপাশি নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নোয়াখালী সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নবজ্যোতি খিসা জানান, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে ট্রলারযোগে ৭ থেকে ৮ জন ডাকাত হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটে আসার পর স্থানীয় লোকজন সন্দেহ হলে তাদের মধ্যে ৬ জনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০টি দেশিয় অস্ত্র পাওয়া যায়। এরপর ৬ ডাকাতকে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে রশি দিয়ে টেবিলে সাথে বেঁধে রাখে এবং তাদের কাজ থেকে উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো টেবিলের ওপর রাখে। এক পর্যায়ে বিদ্যুৎ চলে গেলে ডাকাতরা বাঁধন খুলে টেলিলের ওপর রাখা অস্ত্র দিয়ে পুলিশ সদদ্যদেরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন ডাকাতদেরকে চারদিক থেকে ঘিরে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলে ৪ ডাকাতের মৃত্যু হয় এবং অপর ২ জন গুরুতর আহত হয়।
এ ব্যপারে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে পালানোর চেষ্টা, অস্ত্র উদ্ধার ও হত্যা ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/১২ মার্চ, ২০১৬/মাহবুব