বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, প্রতিবছরই রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বাণিজ্য ঘাটতি কমছে। চলতি অর্থ বছরের মে পর্যন্ত সময়ে ৩০ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। এপ্রিল পর্যন্ত ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ২৩৯ দশমিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সংসদেও বাজেট অধিবেশনে সোমবার টেবিলে উত্থাপিত নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে সংসদে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। বিগত কয়েক অর্থ বছরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৩১ হাজার ২০৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নতি হয়েছে। একই অর্থ বছরে ঘাটতির পরিমাণ ৯ হাজার ৭২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলতি অর্থ বছরে (২০১৫-১৬) অর্থ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ২৩৯ দশমিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
নিজাম উদ্দিন হাজারীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, চলতি অর্থ বছরের ১ জুলাই হতে মে ২০১৬ পর্যন্ত সময়ে ৩০ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। গত অর্থ বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৮দশমিক ৯৫শতাংশ বেশী।
এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে শাক সবজি বর্হিবিশ্বে রপ্তানি করা হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত এই খাতে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ৮৭ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বেগম ওয়াসিকা আয়শা খানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৪-২০১৫অর্থবছরের মোট রপ্তানি আয় ২৫,৪৯১দশমিক ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-মে) ২০১৬ পর্যন্ত রপ্তানি আয় অর্জিত হয়েছে ২৩, ৭৬২ দশমিক ৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
৯০টি ফ্যাক্টরি বন্ধ রয়েছে
জাতীয় উদ্যোগ, অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্সের তত্ত্বাবধানে রপ্তানিমুখী ৩৯টি কারখানাসহ মোট ৭৯০টি ফ্যাক্টরি বন্ধ রয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। জাতীয় পার্টির এমপি এ কে এম মাঈদুল ইসলামের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে ৫হাজার ১৯০টি গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি রয়েছে। তার মধ্যে ৪হাজার ৮৩৪টি রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি আছে। এসকল ফ্যাক্টরি তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় উদ্যোগ, অ্যাকর্ড এবং এ্যালায়েন্সের তত্ত্বাবধানে রপ্তানিমুখী ৩ হাজার ৭৪৬টি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির অগ্নি, বৈদ্যুতিক ও কারখানা ভবনের প্রাথমিক নিরাপত্তা যাচাই সম্পন্ন করেছে। যাচাইকালে নিরাপত্তা জনিত কারণে ৪২টি ফ্যাক্টরি আংশিক বন্ধ রয়েছে এবং ৩৯টিসহ কারখানাসহ অন্যান্য কারণে ৭৯০টি ফ্যাক্টরি বন্ধ রয়েছে।
সংরক্ষতি মহিলা এমপি বেগম হাজেরা খাতুনের টেবিলে প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে বলেন, সরকারের গৃহীত রেমিটেন্স বান্ধব এ সকল পদক্ষেপের ফলে দেশে রেমিটেন্স প্রাপ্তি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে ১৫,৩১৬দশমিক ৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে এপ্রিল ২০১৬ পর্যন্ত দেশে বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ২৯দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিডি-প্রতিদিন/ ২০ জুন, ২০১৬/ আফরোজ