বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সাঁড়াশি অভিযানের নামে সন্দেহভাজন জঙ্গি ধরা, রিমান্ডে নিয়ে ক্রসফায়ারে হত্যা এবং উত্তরার বৌদ্ধ মন্দিরের পাশের খালে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার একই যোগসূত্রে গাঁথা- একটি মহাপরিকল্পনার অংশ। অশুভ উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রের প্রশ্রয়ে এই বিপুল সংখ্যাক অস্ত্র ও গুলি খালে ফেলা হয়েছিল বলে জনগণ বিশ্বাস করে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
উত্তরার খাল থেকে উদ্ধারকৃত অস্ত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই ব্যবহার করতো দাবি রিজভী বলেন, 'এ ঘটনার পর এখন মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতা ছাড়া তুরাগ নদীর খালে এ অস্ত্র গেল কীভাবে। এলাকাটি তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে আবদ্ধ।'
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, 'জঙ্গি দমনের নামে গণগ্রেফতারের পাশাপাশি ক্রসফায়ারে হত্যাকাণ্ডের হিড়িক পড়েছে। আইন ও জনমতের তোয়াক্কা না করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকেরা মানুষ হত্যার নেশায় বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। তাই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংঘটিত এ সমস্ত হত্যাকাণ্ডকে বন্দুকযুদ্ধ বলে চালানো হচ্ছে। বন্দুকযুদ্ধের নামে এ সব হত্যাকাণ্ডে জনগণের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র সন্দেহ, রহস্য ভেদ করে সরকারের ষড়যন্ত্র ও কুবুদ্ধি প্রকাশ হয়ে পড়েছে।'
রিজভী আরও বলেন, ‘জঙ্গি হোক, কিংবা অন্যকোনো অপরাধী হোক তারা সরকারের জিম্মায় খুন হয় কীভাবে? এতে প্রতীয়মান পুলিশের বন্দুকযুদ্ধে সত্যকে চেপে রেখে ন্যায়কে কবর দেওয়া হচ্ছে। প্রকৃত অপরাধীকে আঁড়াল করে ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে সহায়তা করা।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হারুন অর রশিদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ শামসুল আলম তোফা প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/২২ জুন, ২০১৬/মাহবুব