মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক অর্থমন্ত্রীর কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য উৎসব ভাতা দেয়ার জন্য ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন । দুই ঈদ, পহেলা বৈশাখ, ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বরে বোনাস হিসেবে এ টাকা দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সংসদের বাজেট অধিবেশনে রবিবার প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি দাবি জানান। মন্ত্রী বলেন, সকলে ঈদ বোনাস পাবে, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা পাবে না। ঈদ বোনাস তাদের দাবি। আর ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের দিন। এই দুই দিনে বিশেষ ভাতাও দাবি তাদের। বোনাস হিসেবে দুই ঈদে ৪ হাজার করে দিলে ৮ হাজার, বৈশাখীতে ২ হাজার, ২৬ মার্চ ৫ হাজার ও ১৬ ডিসেম্বর ৫ হাজার টাকা দিলে এক বছরে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে মাত্র ২০ হাজার টাকা দিতে হবে। আর এ জন্য মোট খরচ হয় ৪০০ কোটি টাকা। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এই ৪০০ কোটি টাকা বরারদ্দের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ৩৬০টি উপজেলায় উপজেলা এবং ৬০টি জেলায় কমপ্লেক্স করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছে। যারা সশস্ত্র যুদ্ধ করেছে, যারা মুজীবনগর পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছেন, যারা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কলা-কুশলী-পরিচালনাকারী, মেডিকেল টিমে যারা কাজ করেছে, এমনকি যারা বীরাঙ্গনা তাদেরকেও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় রাখা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, দেশ বিক্রি হয়ে গেছে, এর যথাপযুক্ত প্রমাণ দিন। নির্বাচনের পর গুপ্তহত্যা, সন্ত্রাস করেও সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো যায়নি। পরে বিদেশীদের হত্যা করে সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপে ফেলার চেস্টা করা হয়েছে। এখন তারা বলছে নির্বাচন দিলে নাকি গুপ্তহত্যা বন্ধ হবে। যদি হত্যাকারীদের সাথে তাদের আঁতাত না থাকে তাহলে একথা তারা কিভাবে বলছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৬ জুন, ২০১৬/ আফরোজ