গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, সারাদেশে মোট ১০ হাজার ৪১৪টি পরিত্যাক্ত বাড়ি রয়েছে। তবে বরিশাল বিভাগের কোন জেলাতেই পরিত্যাক্ত বাড়ি নেই। ঢাকা শহরে পরিত্যাক্ত বাড়ি রয়েছে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৪০৬টি । এরমধ্যে বিক্রয় তালিকভিুক্ত ৪ হাজার ৭৮২টি। এছাড়া ঢাকার ১২৮টি সরকারি বাড়ি বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের অবৈধ দখলে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারিরা বিভিন্ন আদালতে মামলা দায়ের করে এসব বাসায় বসবাস করছে।
জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে গতকাল এম আব্দুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১), নুরুল ইসলাম মিলনের (কুমিল্লা-৮) ও সেলিনা বেগম(মহিলা-৬) টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদে এ তথ্য জানান। মন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঢাকায় যে ১২৮টি সরকারি বাড়ি বর্তমানে অবৈধ দখলে রয়েছে, এর মধ্যে এফ শ্রেণির ১টি, সুপিরিয়র-২টি, ই-শ্রেণি ১২টি, সংরক্ষিত পরিত্যাক্ত বাস/বাড়ি (বিভিন্ন শ্রেণি) ৫৩টি, ডি-শ্রেণি-৫৬টি ও অস্থায়ী বাসা ৪টি। এসব বাড়িগুলো দ্রুত উদ্ধার করে সরকারের দখলে আনার লক্ষ্যে বেসরকারি আইনজীবী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে বলেও মন্ত্রী জানান।
নুরুল ইসলাম মিলনের প্রশ্নের জবাবে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন জানান, সারাদেশে মোট ১০ হাজার ৪১৪টি পরিত্যাক্ত বাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা জেলায় সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৪০৬টি পরিত্যাক্ত বাড়ি রয়েছে। এরমধ্যে বিক্রয় তালিকাভুক্ত ৪ হাজার ৭৮২টি। অবৈধ দখলে রয়েছে ৬৬টি বাড়ি। ১ হাজার ৪৮৭টি বাড়ি বরাদ্দ প্রাপ্তদের কাছে ভাড়ার ভিত্তিতে বিক্রয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া খুলনায় পরিত্যাক্ত বাড়ি রয়েছে ১৪২১টি, কুষ্টিয়ায় ৫০৭টি চট্টগ্রামে ৩৫৩টি, দিনাজপুরে ৩৭৮টি, নীলফামারীতে ২২৩টি, লালমনিরহাটে ১০৮টি, বগুড়ায় ২৮০টি, রাজশাহীতে ২২৮টি, নারায়নগঞ্জে ৬২টি, রাজবাড়ীতে ৩৬টি, পাবনায় ১২৩টি, যশোরে ৯২টি, সিরাজগঞ্জে ১৩টি, চাপাইনবাবগঞ্জে ১৬টি, চুয়াডাঙ্গায় ২৭টি, রংপুরে ৪২টি, কুড়িগ্রামে ১৭টি, গাইবান্ধায় ২১টি, গাজীপুরে ৩টি, নরসিংদীতে ২টি, নটোরে ৭টি, জয়পুরহাটে ১টি, বাগের হাটে ১টি, কুমিল্লায় ৩টি, কক্সবাজারে ১টি, সিলেটে ৪টি, ঠাকুরগাঁও এ ৯টি পরিত্যাক্ত বাড়ি রয়েছে।
মন্ত্রী জানান, ১০-৪-১৯৮৪ সালের সার্কুলার অনুযায়ী অসহায় মানুষদের পরিত্যাক্ত বাড়ি বরাদ্দ দেয়ার কোন বিধান নেই। বর্তমানে পরিত্যাক্ত বাড়িঘর শুধুমাত্র শহীদ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাগণের বরাবরে বরাদ্দ প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়া রাষ্ট্রপতির আদেশ ১৬/৭২, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের ৪-৯-৮৩ তারিখের সিদ্ধান্ত ও গৃহায়ণ ও গণপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সময়ে জারিকৃত আদেশ/ অফিস স্মারক/ পরিপত্র/ সার্কুলার অনুসারে পরিত্যাক্ত বাড়িঘর বরাদ্দ ও বিক্রয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৭ জুন, ২০১৬/ আফরোজ
