গুলশানে হলি আর্টিসান বেকারি নামের রেস্টুরেন্টের জিম্মিদের উদ্ধারে এখনও (শনিবার সকাল ৮টা) অভিযান চলছে। ১১ ঘণ্টা টানা রুদ্ধশ্বাস অভিযানে এ পর্যন্ত পাঁচজন জিম্মিকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অভিযানে অংশ নিয়েছে সেনা কমাণ্ডোরা।
শুক্রবার (১ জুলাই) রাতে সন্ত্রাসীদের হামলার পর সৃষ্ট এ জিম্মি সংকটের অবসানে শনিবার (২ জুলাই) ভোর সাড়ে ৭টায় দায়িত্ব নেয় সেনা কমাণ্ডোদের দলটি। তাদের সঙ্গে অংশ নেয় র্যাব, পুলিশ, সোয়াট, বিজিবিসহ অন্য বাহিনীও। এরপর সকাল পৌনে আটটার দিকে স্পট থেকে ভেসে আসতে থাকে টানা গুলির শব্দ। শনিবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের মধ্যে অনেকটাই ভবনের কাছাকাছি পৌঁছে যায় কমান্ডোরা। এ সময় গুলির পাশাপাশি, গ্রেনেডের শব্দও আসতে থাকে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার কিছু আগে সেনাবাহিনীর ১১টি এপিসি, ১৬টি জিপ ও ৩টি ভ্যানসহ বেশ কিছু সাঁজোয়া যান রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন এলাকায় প্রবেশ করে। আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য চিহ্নিত এলাকার বাইরে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় মিলিটারি পুলিশকে। এরপর একে একে বাড়তে থাকে সেনা সদস্যের সংখ্যা।
এর আগে জিম্মিদশার প্রায় আট ঘণ্টা পার হওয়ার পর শনিবার ভোর পৌনে চারটার পরপরই এক দফা অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। যার অগ্রভাগে ছিলেন র্যাব সদস্যরা। সে সময় অন্তত পাঁচটি সাউন্ড গ্রেনেডের বিষ্ফোরণ ঘটানো হয়।
কম্যান্ডিং অফিসার মাইকে জানান, যারা বের হয়ে আসতে চায় তারা যেনো হাত উঁচু করে বের হয়ে আসেন।
ভোর ঠিক চারটায় ভেতর থেকে গুলিবিদ্ধ একজনকে বের করে আনা হয়। অভিযান স্থলে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়।
ভোর ঠিক ৪টা ৫ মিনিটে একটি গ্রেনেড বিষ্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তবে সেটি কোন পক্ষ থেকে বিষ্ফোরণ ঘটানো হয়েছে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিলো না। তবে ওই বিষ্ফোরণের পর অভিযানকারীরা থেমে যান। এর পর প্রায় তিন ঘণ্টা একই অবস্থায় কাটানোর পর সকাল সাড়ে ৭টায় কমাণ্ডোরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর নতুন অভিযান শুরু হয়।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ