গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বরের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মিদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শনিবার সকালে অভিযানে অন্য বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিয়েছে সেনা কমান্ডোরা। শনিবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে এ অভিযান শুরু হয়।
অভিযানের শুরু থেকেই মুহুর্মুহু গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। গুলি ও গ্রেনেড বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠছে গুলশান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক ও ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) আলী আহমদ খান।
রাত থেকেই পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, সোয়াত ও নৌ-বাহিনীর কমান্ডোদের সমন্বয়ে এ অভিযানের প্রস্তুতি শুরু হয়। ভোরের দিকে তাদের প্রস্তুতি শেষ হয়। পরে আশপাশে অবস্থান নেওয়া সংবাদকর্মীদের সরিয়ে দেয় তারা।
সকাল সাড়ে ৭টার কিছু আগে সেনাবাহিনীর ১১টি এপিসি, ১৬টি জিপ ও ৩টি ভ্যানসহ বেশ কিছু সাঁজোয়া যান রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন এলাকায় প্রবেশ করে। আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য চিহ্নিত এলাকার বাইরে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় মিলিটারি পুলিশকে। এরপর একে একে বাড়তে থাকে সেনা সদস্যের সংখ্যা।
এর আগে জিম্মিদশার প্রায় আট ঘণ্টা পার হওয়ার পর শনিবার ভোর পৌনে চারটার পরপরই এক দফা অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। যার অগ্রভাগে ছিলেন র্যাব সদস্যরা। সে সময় অন্তত পাঁচটি সাউন্ড গ্রেনেডের বিষ্ফোরণ ঘটানো হয়।
কম্যান্ডিং অফিসার মাইকে জানান, যারা বের হয়ে আসতে চায় তারা যেনো হাত উঁচু করে বের হয়ে আসেন।
ভোর ঠিক চারটায় ভেতর থেকে গুলিবিদ্ধ একজনকে বের করে আনা হয়। অভিযান স্থলে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়।
ভোর ঠিক ৪টা ৫ মিনিটে একটি গ্রেনেড বিষ্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তবে সেটি কোন পক্ষ থেকে বিষ্ফোরণ ঘটানো হয়েছে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিলো না। তবে ওই বিষ্ফোরণের পর অভিযানকারীরা থেমে যান। এর পর প্রায় তিন ঘণ্টা একই অবস্থায় কাটানোর পর সকাল সাড়ে ৭টায় কমাণ্ডোরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর নতুন অভিযান শুরু হয়।
এর আগে শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বরের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে ৮ থেকে ১০ জন যুবক অতর্কিত হামলা চালায়। এরপর তারা ওই রেস্টুরেন্টে থাকা ২০ জন বিদেশি নাগরিকসহ ৩০-৩৫ জনকে জিম্মি করে।
হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। তারা হলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ